Image description

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সাহিল ফারাবি আয়ান (১৪) নামের আরও এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

গতকাল রবিবার দিনগত রাত পৌনে ২টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়।

সাহিল ফারাবি আয়ান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি ভার্সনের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ালেখা করতো। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘রাত পৌনে ২টার দিকে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাহিল ফারাবি আয়ান নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছিল।’

এই ঘটনায় সর্বমোট এখন পর্যন্ত জাতীয় বার্নে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল বার্নে একজনের মৃত্যু হয়।

এদিকে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা নিয়ে প্রাথমিকভাবে কিছু বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছিল। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে গত ২৪ জুলাই প্রকাশিত তালিকায় মৃতের সংখ্যা ১৫ জন হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তবে, গতকাল ২৭ জুলাইয়ের হালনাগাদ তালিকায় এই সংখ্যা সংশোধন করে ১৪ জন দেখানো হয়েছে। সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনায় মোট নিহতের সংখ্যা হয় ৩৪ জন। নতুন করে আরও একজন (সাহিল ফারাবি আয়ান) যোগ হলে সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৫ জন।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের একটি ভবনে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই সামরিক বিমান দুর্ঘটনায় যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের বেশির ভাগই শিশু।

এছাড়া ওই যুদ্ধবিমানের পাইলট, দুই শিক্ষক, অফিস সহায়ক ও দুই অভিভাবকেরও মৃত্যু হয়েছে।