
বৈরী আবহাওয়ার কারণে সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে বন্ধ আছে নৌযান চলাচল। ফলে দ্বীপে নিত্যপণ্যের সংকট তৈরির পাশাপাশি দামও বেড়ে গেছে।
আট বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই সেন্টমার্টিন দ্বীপে অন্তত ১১ হাজার মানুষ বসবাস করেন। দ্বীপে নিত্যপ্রয়োজনীয় বেশিরভাগ পণ্য টেকনাফ উপজেলা শহর থেকে স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করা হয়। সাগরে নিম্নচাপের কারণে চারদিন ধরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্টমার্টিনে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সংকট দেখা দিয়েছে।
অপরদিকে, নিম্নচাপের প্রভাবে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ১-৩ ফুট বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে পানির ঢেউয়ের ধাক্কায় চরের পাশে থাকা বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে পড়ছে এবং গাছপালার ক্ষতি হচ্ছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ফয়েজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, চারদিন ধরে নৌযান চলাচল বন্ধ। টেকনাফ থেকে কোন পণ্য দ্বীপে আসতে পারছে না। সেজন্য বাজারে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
তিনি জানান, সেন্টমার্টিন থেকে পারিবারিক কাজে টেকনাফ ও কক্সবাজার শহরে গিয়ে আটকা পড়েছেন দু'শতাধিক মানুষ।
চেয়ারম্যান বলেন, দ্বীপের চারপাশে সাগরের জোয়ার আসলে আগের চেয়ে ১-৩ ফুট পানি বেড়ে যায়। ফলে উত্তাল সাগরের ঢেউয়ের ধাক্কায় দ্বীপের মধ্যে পানি ঢুকে পড়ে। চরের পাশে থাকা বাড়ি-ঘরসহ নারিকেল গাছ গুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, দ্বীপের চারপাশে জিও ব্যাগসহ টেকসই বাঁধ দেয়া দরকার। নাহয় পানির ঢেউয়ের ধাক্কার আঘাতে সেন্টমার্টিন দ্বীপ রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে। বিলীন হবে দ্বীপ।
কক্সবাজার আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুল হান্নান জানান, রোববার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কক্সবাজারে ২৭ মিলিমিটার এবং গেল ২৪ ঘণ্টায় ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বর্তমানে আবহাওয়া কিছুটা উন্নতি হওয়ায় কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে সতর্কতা সংকেত নামিয়ে ফেলা হয়েছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহেসান উদ্দিন বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে বৃহস্পতিবার থেকে এখনো পর্যন্ত টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নৌযান চলাচল করতে পারবে।