Image description

বাংলাদেশ প্রতিদিন

 

দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান শিরোনাম ‘বেড়েছে ঘুষের রেট’। খবরে বলা হয়, গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পরিবর্তনের পর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সেবা দপ্তরে ঘুষের পরিমাণ বেড়ে গেছে কয়েক গুণ। বিশেষ করে ভূমি, বিচারিক সেবা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, পাসপোর্ট, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, বন্দর পরিষেবা, সচিবালয়ে ফাইল ছাড়ানো এবং বিআরটিএ অফিসে ঘুষের হার বেড়েছে অন্তত ৫ গুণ। এসব সেবা খাতে এখন গড় ঘুষের পরিমাণ আগের তুলনায় অনেক বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে সাধারণ মানুষের আস্থা রাষ্ট্রীয় সেবাব্যবস্থার প্রতি আরও হ্রাস পাবে। একই সঙ্গে ঘুষের এ সংস্কৃতি দীর্ঘমেয়াদে প্রশাসনের শৃঙ্খলা ভেঙে দিতে পারে।

সেবাগ্রহীতারা জানান, আগে যে কাজের জন্য ১০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হতো, বর্তমানে সে কাজের জন্য দিতে হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তাঁরা আরও অভিযোগ করেন, ঘুষ লেনদেনের এ ব্যবস্থায় নতুন নতুন তদবিরবাজের সক্রিয়তা বাড়ছে। বিশেষ করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে ঋণের সুদ মওকুফ, নতুন ঋণ অনুমোদন ও মামলার জামিনের ক্ষেত্রে ঘুষের হার অনেক বেড়েছে। এসব খাতে আগে পরিচিত কিছু ব্যক্তি তদবির করলেও বর্তমানে নতুন মুখের দাপট বেড়েছে, যারা নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে মোটা অঙ্কের ঘুষ দাবি করছেন।

এক ব্যবসায়ীর বরাত দিয়ে ঘুষের রেট ৫ গুণ বৃদ্ধির তথ্য দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও। গতকাল এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের আগে ১ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হতো, এখন ৫ লাখ টাকা দিতে হয়।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমার জমির খতিয়ান সংশোধনের জন্য আগে ১৫ হাজার টাকা দিলেই কাজ হয়ে যেত। এখন বলছে কমপক্ষে ৭০ হাজার টাকা লাগবে। নতুন কিছু লোক এসেছে যারা “লোকদেখানো সহযোগিতা”র নামে মোটা অঙ্ক দাবি করছে।’

এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘বিচারিক সেবা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থায় দুর্নীতি ও ঘুষের উচ্চহার অব্যাহত রয়েছে, যা সাধারণ মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা। অন্যদিকে ভূমি, পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং বিআরটিএর মতো সেবায়ও উচ্চমাত্রার দুর্নীতি ও ঘুষ রয়েছে, যা জনগণের মৌলিক অধিকার বাধাগ্রস্ত করছে।’

টিআইবি প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে জাতীয়ভাবে প্রাক্কলিত ঘুষের পরিমাণ ছিল ১০ হাজার ৯০২ কোটি টাকা; যা দেশের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) শূন্য দশমিক ২২ শতাংশ। ঘুষ লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত তিনটি খাত হলো ভূমিসেবা-২ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা; বিচারিক সেবা-২ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা; আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা-২ হাজার ৩৫৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এ ছাড়া পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন-১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা; স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান-৮৪০ কোটি ৯০ লাখ টাকা; বিদ্যুৎ-৩০৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা; স্বাস্থ্য-২৩৫ কোটি ১০ লাখ টাকা এবং শিক্ষা খাতে-২১৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেন হয়েছে বলে টিআইবির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে মোট ১৪ খাতের ঘুষসংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, যা থেকে স্পষ্ট দেশের প্রায় সব ধরনের সেবা খাতেই ঘুষ লেনদেন একটি স্থায়ী সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে।

এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একজন কর্মকর্তা জানান, তাঁরা এমন অভিযোগ নিয়মিতভাবে পাচ্ছেন এবং কিছু ক্ষেত্রে অনুসন্ধানও শুরু হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর অভ্যন্তরীণ প্রতিরোধব্যবস্থার দুর্বলতা এ দুর্নীতি প্রশ্রয় দিচ্ছে বলে জানান তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, ঘুষ, তদবির বাণিজ্য একটি রাষ্ট্রকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য যেসব অব্যবস্থাপনা আছে সেগুলো উত্তরণের মধ্যে নতুন বাংলাদেশ পাব, জুলাই বিপ্লব আমাদের সেই স্বপ্নে বিভোর করেছিল। সেই জায়গায় আমাদের হোঁচট খেতে হয়েছে। ঘুষ ও তদবিরের ক্ষেত্রগুলোয় ব্যবস্থার পরিবর্তন না হয়ে ব্যক্তির পরিবর্তন হয়েছে। ব্যবস্থার পরিবর্তন না হয়ে শুধু হাতবদল হলে অনিয়ম থেকেই যায়।’

প্রথম আলো

‘কেনাকাটা আটকে দিয়েছিলেন নাহিদ, তোড়জোড় ফয়েজের’-এটি দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর। খবরে বলা হয়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) একটি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম প্রকল্পের কেনাকাটার প্রক্রিয়া আটকে দেন। দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের ব্যবস্থাও করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান শেষ হওয়ার আগেই এখন সেই প্রকল্পে যন্ত্রপাতি কেনার তোড়জোড় করছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তাঁর বিরুদ্ধে দুদককে প্রভাবিত করার অভিযোগও উঠেছে।

বিটিসিএলের ওই প্রকল্পে দুদক গত ৯ জানুয়ারি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। এ জন্য দুদকের পরিচালক এস এম এম আকতার হামিদ ভূঁইয়াকে প্রধান করে গঠিত পাঁচ সদস্যের কমিটি কাজ করছে। অনুসন্ধান চলার মধ্যেই যাতে কেনাকাটা করা যায়, সে জন্য দুদকের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেছেন ফয়েজ আহমদ। তাঁকে চিঠিও দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে এই প্রকল্পে কেনাকাটা করতে বিশেষ কৌশলের আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।

বিটিসিএলের প্রকল্পটির নাম ‘৫-জি উপযোগীকরণে বিটিসিএলের অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক উন্নয়ন’, যা ফাইভ-জি রেডিনেস প্রকল্প নামে পরিচিতি। বিটিসিএল সারা দেশে অপটিক্যাল ফাইবার (বিশেষ তার) ও যন্ত্রপাতি বসিয়ে তা ইন্টারনেট সেবাদাতাদের কাছে ভাড়া দেয়। নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে তারা সেই সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছিল।

বিটিসিএল ও দুদক সূত্র জানায়, প্রকল্পটি নেওয়া হয় ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। মোট ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৫৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে যন্ত্রপাতি কেনার ব্যয় ৪৬৩ কোটি টাকা। সেই সময় দরপত্রে অংশ নেওয়া তিনটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক প্রস্তাব মাত্র চার দিনে মূল্যায়ন করে চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে টেকনোলজিসকে ৩২৬ কোটি টাকার কাজ দেওয়া হয়। তখন অভিযোগ উঠেছিল যে দরদাতাদের কেউই দরপত্রের শর্ত পূরণ করতে পারেনি। তারপরও কারিগরি কমিটি সবাইকে যোগ্য ঘোষণা করে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সমীক্ষা অনুসারে অনুমোদিত ডিপিপি (প্রকল্প প্রস্তাব) ভঙ্গ করে প্রয়োজনের চেয়ে পাঁচ গুণ সক্ষমতার যন্ত্রপাতি কেনার উদ্যোগ নিয়ে অর্থ অপচয় চেষ্টার অভিযোগও ওঠে। এ ছাড়া মূল্যায়নের গোপন তথ্য ফাঁস করে তৎকালীন মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও তৎকালীন সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তারের ঘটনাও ঘটে। বিটিসিএলের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুজ্জামান এসব কারণে প্রকৃত চাহিদা অনুযায়ী নতুন করে দরপত্রের সিদ্ধান্ত দেন। গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে প্রভাব বিস্তারের দায়ে দুই চীনা প্রতিষ্ঠানের দরপত্রও বাতিল করেন।

যুগান্তর

দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম ‘ভোটের তারিখ ঘোষণা আগস্টের শুরুতে’। খবরে বলা হয়, আগস্ট মাসের শুরুতেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা। পতিত আওয়ামী লীগ সরকার পতনের বর্ষপূর্তির আগেই জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ উল্লেখ করবেন। এক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট হবে এমন ঘোষণা দিতে পারেন। এতে নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে যে অনিশ্চয়তার কথা বলা হচ্ছে, তা কেটে যাবে। শনিবার ১৪টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বিষয়টি উল্লেখ করেন। সরকারের একটি সূত্র যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ড. ইউনূস বলেছেন, ‘পতিত শক্তি গন্ডগোল লাগিয়ে নির্বাচনের আয়োজনকে ভন্ডুল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এই অপচেষ্টাকে প্রতিহত করতে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অন্যদিকে বৈঠক শেষে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, চার-পাঁচ দিনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন। এর চেয়ে আনন্দের বার্তা আর কিছু হতে পারে না।’ এ সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারকে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।

ড. ইউনূস বলেন, ‘অভ্যুত্থানের সব শক্তি মিলে একটি সুন্দর নির্বাচন করতে না পারলে এই মস্তবড় সুযোগ আমাদের হাতছাড়া হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, পরাজিত শক্তি যখনই সুযোগ পাচ্ছে তখনই নানারকম গন্ডগোল সৃষ্টি করছে। এসব করে তারা দেশের স্বাভাবিক অগ্রযাত্রাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে। ‘যখনই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আমরা অগ্রসর হচ্ছি তখনই নানা ষড়যন্ত্র সামনে আসছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে কোনো ষড়যন্ত্রেই গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। কারণ ফ্যাসিবাদ প্রশ্নে সবগুলো গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য স্পষ্ট। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য সব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি। উপস্থিত রাজনৈতিক নেতারাও প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

কালের কণ্ঠ

‘ভ্রমণ ভিসার আড়ালে মানবপাচার’-এটি দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার বমুবিল ছড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা মোজাফফর আহমদ। কর্মী ভিসায় মালয়েশিয়ায় যেতে না পারলেও ভ্রমণ ভিসায় গিয়ে তিনি কর্মী হওয়ার সুযোগ নিতে চেয়েছিলেন। তাই দালালের কথায় চার লাখ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু কাজ না পেয়ে উল্টো নির্যাতনের শিকার হয়ে আরো এক লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ করে ১০ মে দেশে ফিরে আসেন তিনি।

কালের কণ্ঠকে মোজাফফর আহমদ বলেন, ‘আমার এলাকা থেকে আগে এক লোক মালয়েশিয়া গিয়েছিল। সে আমাকে নানা ধরনের প্রলোভন দেখায়। তার প্রলোভনে পড়ে রাজি হয়ে যাই। সে আমাকে জানায়, ভ্রমণ ভিসায় যাওয়ার পর কর্মী ভিসা করে দেবে।

এরপর সে আমার সঙ্গে চার লাখ ৮০ হাজার টাকায় চুক্তি করে। কথা ছিল, অর্ধেক টাকা প্রথমে দেব, বাকি অর্ধেক দেব কাজ শেষ হওয়ার পর। কিন্তু বিমানবন্দরে যেতেই আমার কাছ থেকে পুরো টাকা নিয়ে নেওয়া হয়।’

মোজাফফর কাঁদতে কাঁদতে আরো বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় নিয়ে কাজ তো দেয়ইনি, উল্টো নির্যাতন শুরু করে। নির্যাতন করে আর বলে বাসা থেকে টাকা নিয়ে আসতে। এভাবে আরো এক লাখ ২০ হাজার টাকা নেয়। পরে আমাকে পুলিশে দেয়। প্রায় তিন মাস জেল খাটার পর আমাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। আমি পুরো নিঃস্ব হয়ে গেছি। এখন কোনোমতে সংসার চালাচ্ছি আর দেনা শোধ করছি।’

সমকাল

দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম ‘কয়েক দিনের মধ্যে ভোটের সময় জানাবেন প্রধান উপদেষ্টা’। প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই নির্বাচনের দিনক্ষণ জানাবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ১৪টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে বৈঠকে তিনি তা জানিয়েছেন।

বৈঠক থেকে বেরিয়ে জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা সুস্পষ্টভাবে বলেছেন– তিনি আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে নির্বাচনের সময়সীমা, তারিখ ঘোষণা করবেন। আলোচনার সবচেয়ে ফলপ্রসূ বিষয় হচ্ছে এটি। দেশে যে অরাজকতা, এর একমাত্র সমাধান নির্বাচন– তা সরকার বুঝতে পেরেছে।’

বৈঠকে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে অন্তত তিনটি দলের প্রতিনিধি সমকালকে বলেছেন, সরকারপ্রধান চার-পাঁচ দিনের মধ্যে নির্বাচনের সময় ঘোষণা করবেন। দুটি দল বলেছে, ড. ইউনূস তিন-চার দিনের মধ্যে ঘোষণা দেবেন। আরেকটি দল বলেছে, ৫ আগস্টের আগেই ঘোষণা দেবে সরকার। যদিও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এবং প্রেস উইং এসব বক্তব্যকে গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করেনি। তারা সমকালকে বলেছে, সরকারপ্রধান ‘কয়েক দিনের কথা’ বলেছেন। এই বৈঠক নিয়ে প্রেস উইংয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও এ-সংক্রান্ত বক্তব্য নেই।

ইত্তেফাক

‘জাতীয় সনদ’কে সর্বোচ্চ আইন হিসেবে বিবেচনার পরামর্শ-এটি দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে এবং ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে জাতীয় সনদ হবে, সেটাকে জনগণের আকাঙ্ক্ষা বা সর্বোচ্চ আইন হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। সে সনদে এমন একটা বিধান রাখতে হবে যে এই সনদের বিরুদ্ধে যায় সংবিধানে এমন কোনো বিধান বা আইন করা যাবে না। গতকাল শনিবার ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে প্রস্তাবিত জাতীয় সনদ সম্পর্কে নাগরিক ভাবনা উপস্থাপন’ শীর্ষক এক আলোচনায় এসব কথা উঠে আসে। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঐ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুজনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন। সামনে যে জাতীয় সনদ বা জুলাই সনদ করা হবে, কেউ পরবর্তী সময়ে সেটা না মানলে তখন কী হবে, এমন প্রশ্ন রেখে নিজের একটি পরামর্শ তুলে ধরেন এম এ মতিন। তিনি বলেন, জাতীয় সনদে একটা বিধান থাকবে হবে—এই সনদের বিরুদ্ধে কোনো আইন, সংবিধান হবে না। যা কিছু এই সনদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে, ওটা বাতিল হবে। গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত বর্তমান সরকারের আইনগত ক্ষমতা আছে উল্লেখ করে এম এ মতিন বলেন, সনদে যদি থাকে যে হাইকোর্ট ঢাকার বাইরে স্থানান্তর করতে হবে, তাহলে এটাই আইন। কারণ, এটাই জনগণের অভিপ্রায়, জনগণের আকাঙ্ক্ষা এবং এটাই সর্বোচ্চ আইন।

নয়া দিগন্ত

দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম ‘নির্বাচন ভণ্ডুলচেষ্টা রুখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার’। খবরে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পতিত শক্তি গণ্ডগোল লাগিয়ে নির্বাচনের আয়োজনকে ভণ্ডুল করার চেষ্টা করছে। এই অপচেষ্টাকে প্রতিহত করতে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অভ্যুত্থানের সব শক্তি মিলে একটি সুন্দর নির্বাচন করতে না পারলে এই মস্তবড় সুযোগ আমাদের হাতছাড়া হয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

গতকাল শনিবার বিকেলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সাথে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, পরাজিত শক্তি যখনই সুযোগ পাচ্ছে তখনই নানা রকম গণ্ডগোল সৃষ্টি করছে। এসব করে তারা দেশের স্বাভাবিক অগ্রযাত্রাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে। যখনই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আমরা অগ্রসর হচ্ছি তখনই নানা ষড়যন্ত্র সামনে আসছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে কোনো ষড়যন্ত্র করেই গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। কারণ ফ্যাসিবাদ প্রশ্নে সবগুলো গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য স্পষ্ট, বলেন প্রধান উপদেষ্টা। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য সব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি।

উপস্থিত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দও প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বৈঠকে জাতীয় গণফ্রন্টের আমিনুল হক টিপু বিশ্বাস, ১২ দলীয় জোটের মোস্তফা জামাল হায়দার, নেজামে ইসলাম পার্টির মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, ন্যশনাল পিপলস পার্টির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ জাসদের ড. মুশতাক হোসেন, ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্টের ববি হাজ্জাজ, ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজি, ভাসানী জনশক্তি পার্টির রফিকুল ইসলাম বাবলু, বাংলাদেশ লেবার পার্টির ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (মার্কসবাদী) মাসুদ রানা এবং জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী উপস্থিত ছিলেন।

বণিক বার্তা

‘গাজার নামে তহবিল সংগ্রহ, বাংলাদেশ থেকে অর্থ পৌঁছায় কি?’-এটি বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, ইসরায়েলি আগ্রাসনে ‘গাজা’ এখন ধ্বংসস্তূপ। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এ নগরী বহুদিন ধরে পরিচিত বিশ্বের বৃহত্তম কারাগার হিসেবে। গত দেড় বছরে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা, গুলি আর অবরোধে হাজার হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে আছে অসংখ্য শিশু। অবরুদ্ধ এ নগরে এখন দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি চললেও ত্রাণ কিংবা অন্য কোনো মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েলি বাহিনী। গাজায় প্রবেশ নিষিদ্ধ জাতিসংঘের ত্রাণও। গত জুনে গাজায় ত্রাণসহায়তা নিয়ে গিয়েছিলেন বিখ্যাত জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। কিন্তু তার সে প্রচেষ্টাও সফল হয়নি।

এমন পরিস্থিতিতে গাজাবাসীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বানে নগদ অর্থ ও ত্রাণ সংগ্রহ চলছে বাংলাদেশে। কয়েক বছর ধরে চলে আসা এ তৎপরতা সম্প্রতিক সময়ে জোরালো হয়েছে। বিভিন্ন ব্যক্তি, সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গাজাবাসীকে সহায়তা করার জন্য নগদ অর্থ তুলছে। কেউ কেউ নগদ অর্থের পরিবর্তে খাদ্য ও চিকিৎসাসামগ্রী সংগ্রহ করছে। ফিলিস্তিনের প্রতি সহানুভূতিশীল মানুষ বিনা প্রশ্নেই নিজেদের অর্থ অনেক ব্যক্তি ও সংস্থার হাতে তুলে দিচ্ছেন। তবে বাংলাদেশ থেকে সহায়তার নামে উত্তোলিত এ ‘সাহায্য’ গাজায় আদৌ পৌঁছাচ্ছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।

ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সংগৃহীত নগদ অর্থ বা ত্রাণসহায়তা গাজায় পৌঁছাতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ ধরনের অনুমোদন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নেয়নি বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। অনুমোদন না নেয়ায় এসব অর্থ অবৈধ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাঠানো হচ্ছে কিনা সেটি নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।

আজকের পত্রিকা

দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর ‘আগের তিন ভোটের নির্বাচনী কর্মকর্তারা দায়িত্ব পাবেন না’। প্রতিবেদনে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় সংসদ (দশম, একাদশ ও দ্বাদশ) নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিদের আগামী সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন (ইসি), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও পুলিশ অধিদপ্তরকে বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৪ সালে দশম, ২০১৮ সালে একাদশ ও ২০২৪ সালে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই তিনটি নির্বাচনই বিতর্কিত। সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৫ লাখের বেশি ব্যক্তি ভোট গ্রহণের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। তাঁদের মধ্যে জেলা প্রশাসক (ডিসি), বিভাগীয় কমিশনার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী, ব্যাংক কর্মকর্তা, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, পুলিশ, ব্যাটালিয়ন আনসার, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র‍্যাব, কোস্ট গার্ড, নির্বাহী হাকিম, বিচারিক হাকিম রয়েছেন।

দেশ রূপান্তর

‘সর্বোচ্চ ফাঁসির আসামিতে হিমশিম’-এটি দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, ঘড়ির কাটা টিক টিক করে প্রতিটি সেকেন্ড চলে যাওয়ার বার্তা দেয়। ঘড়ির এই মৃদু শব্দটাই কনডেম সেলে বন্দিদের বুকের ভেতরে তীব্রভাবে আঘাত করে। তাদের জীবন থেকেও যে একটা সেকেন্ড কমে গেল! সেই কনডেম সেলে এখন ২ হাজার ৬০০ বন্দি, যা যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি অর্থাৎ রেকর্ডসংখ্যক।

বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ যখন এই চরম শাস্তি থেকে বের হয়ে আসছে তখনো এ দেশের জেল কর্তৃপক্ষ স্পর্শকাতর এসব বাড়তি বন্দিদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থের ওপর বিশেষ নজর রাখতে হিমশিম খাচ্ছে।

কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল ফরহাদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সর্বোচ্চ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি এখন কারাগারে আছেন। সংগত কারণেই এই বন্দিদের বিষয়টি স্পর্শকাতর। অনেকেই অসহিষ্ণু আচরণ করেন। তাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের বিষয়টির দিকে যথাযথ খেয়াল রাখতে হয়।’

আইন ও বিচার বিশ্লেষকদের মতে, অধস্তন আদালতে দৃষ্টান্তমূলক সাজা হিসেবে প্রাণদন্ডাদেশ হচ্ছে প্রায় নিয়মিতই। আইন ও বিধিবিধানের বাইরেও সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যাপক হারে সর্বোচ্চ এই সাজা দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। অন্যদিকে উচ্চ আদালতে মামলার জট ও বেঞ্চ স্বল্পতায় মৃত্যুদন্ড অনুমোদনের ডেথ রেফারেন্স মামলা নিষ্পত্তিতে রয়েছে ধীরগতি। বছরে ৮০০ থেকে ১ হাজার ডেথ রেফারেন্স মামলার বিপরীতে নিষ্পত্তি হয় গড়ে মাত্র ৫০ থেকে ১০০টি। এর জন্য চার-পাঁচটি বেঞ্চ থাকে। তবে, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের উদ্যোগে হাইকোর্টে এখন সাতটি দ্বৈত বেঞ্চে ডেথ রেফারেন্স মামলার শুনানি হচ্ছে, যা আশাব্যঞ্জক বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

নিউ এজ

ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজ পত্রিকার প্রত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘Inflation feared amid revenue shortfall, growing borrowings’ অর্থাৎ ‘রাজস্ব ঘাটতি ও ক্রমবর্ধমান ঋণের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা’।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘস্থায়ী রাজস্ব ঘাটতি, সরকারি ঋণের বাড়তি চাপ এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে আগামী ছয় মাসের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা - কর্মচারীদের বেতন বাড়াতে সরকারের জাতীয় পে-কমিশন গঠনে বিস্মিত হয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।

অর্থনীতিবিদরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছেন, প্রায় ১৮ লাখ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রস্তাবিত বেতন বাড়লে বাজারে অর্থ সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে এবং সরকারি বেতন স্কেলের বাইরের বেশিরভাগ মানুষকে বিপদ ও কষ্ট ভোগ করতে হবে।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন গতকাল শনিবার বলেন, ‘বাড়তি অর্থ সরবরাহ মুদ্রাস্ফীতির চাপ সৃষ্টি করবে।’

এছাড়া, সরকারি বেতন বৃদ্ধির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম এবং বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি বেসরকারি খাতের কর্মচারীদের দুর্দশায় ফেলবে বলে উল্লেখ করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক।