
রাজশাহীতে যুবদল ও ছাত্রদল নেতাসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। প্রতিকার চেয়ে ইতোমধ্যে মামলা করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান নামে ডেভলপার ব্যবসায়ী। এজাহারে ৩৬ জনের নাম উল্লেখসহ ২০ জনকে অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামি করা হয়েছে। বুধবার রাতে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় এ মামলা করা হয়।
মামলার আসামিদের মধ্যে আছেন রাজশাহী জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মোজাদ্দেদ জামানী সুমন ও রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লিমন। তাদের মধ্যে সুমনকে প্রধান এবং লিমনকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে অভিযোগ করা হয়, আসামিরা ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। তাদের দাবি অনুযায়ী টাকা না দেওয়ায় নানাভাবে নিমার্ণকাজ বন্ধ, বাড়ি দখল করাসহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।
চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রদল নেতা লিমন বলেন, ‘মোস্তাফিজুরের কাছে ২৭ লাখ টাকা পাবেন আমিনুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। তিনি সুমন ভাইয়ের (যুবদল নেতা) আত্মীয়। টাকা না দেওয়ায় আমরা থানায় বসেছিলাম। থানার ওসি নিজেই মীমাংসা করে দেন। কথা হয় যে, টাকা দিতে না পারলে মোস্তাফিজুর একটা ফ্ল্যাট সুমন ভাইকে দিয়ে দেবেন। ওই পর্যন্তই জানি। এখন ষড়যন্ত্র করে আমারেদ নামে মামলা করা হয়েছে।’
যুবদল নেতা সুমন বলেন, মোস্তাফিজুর স্বৈরাচারের দোসর। বেছে বেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে শনিবার সংবাদ সম্মেলন করবে যুবদলসহ স্থানীয় বিএনপির নেতারা। সেখানে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বোয়ালিয়া থানার এসআই শাহাদত হোসেন বলেন, ‘মামলা হওয়ার দিন আমি সাক্ষী দিতে বাইরে গিয়েছিলাম। এসে শুধু এজাহারটা দেখেছি। আমি আবার পাঁচ দিনের প্রশিক্ষণে যাচ্ছি। আসার পর তদন্ত শুরু করব।’