Image description

Syful Islam (সাইফুল ইসলাম)

 
 
ছবি দুইটার শিরোনাম দেখে কী মনে হয়? মনে হয় 'বাংলাদেশ ব্যাংক নারী কর্মকর্তাদের বাধ্যতামুলক হিজাব পরতে বলছে'- এটাই মনে হয় না?
প্রথম আলোর শ্লোগানই ছিল 'বদলে দাও'। মূলত বিএনপি সরকার নামার পরে আওয়ামীলীগ সরকার গঠনের চেস্টা স্বরূপ তারা এই শ্লোগান প্রচার করেছিল।
 
মূল ঘটনা কী?
প্রত্যেকটা ব্যাংকের একটা নির্দিষ্ট ড্রেস কোড থাকে। আপনি যদি ব্র্যাক ব্যাংকে যান (আড়ং এর মালিকানাধীন সেইম গ্রুপের) তাহলে দেখবেন সবার ড্রেস প্রায় সেইম, ক্যাটাগরি এক।
 
আপনি যদি ডাচ বাংলা ব্যাংকে যান, সেখানেও সেইম দেখবেন।
আপনি প্রিমিয়ার ব্যাংকে যান, সেখানেও একই অবস্থা দেখবেন।
 
ব্যাংকের ড্রেস কোড হলো- ফরমাল শার্ট ফরমাল প্যান্ট। বেল্টের কালার ও নির্দিষ্ট করে দেয়া আছে জানেন? না জানলে জেনে রাখেন। বেশিরভাগ ব্যাংকে বেল্ট আর শু একই কালারের হতে হবে- এমন একটা অলিখিত আইন আছে। আপনি যদি প্রাইভেট ব্যাংকে যান তাহলে এই পোষাক খেয়াল করবেন।
 
এবার আসি মূল প্রসঙ্গে। যেখানে হিজাবের কথা বলা হয়েছে। বাস্তবতা হলো, হিজাব বাধ্যতামূলক করা হয় নাই। বরং যেসব নারী কর্মকর্তা বিভিন্ন রং বেরং এর হিজাব পরিধান করে আসে তাদেরকে একটা ফরমাল কালারের হিজাব পরে অফিস করতে বলা হয়েছে। যারা হিজাব পরিধান করে না তাদের ব্যাপারে কিছুই বলা হয় নাই।
 
এখন আসেন লেগিন্স প্রসঙ্গে। আপনি বেসরকারী ব্যাংকে যান, কোথাও লেগিন্স পরা মেয়ে দেখবেন না। ইস্টার্ন ব্যাংক গুলশান শাখায় আমি ১৫ বছর আগে ব্লেজার পরা নারী কর্মকর্তা দেখেছি। এইচএসবিসির প্রধান শাখা সহ যেসব ব্যাংকে ও শাখায় আপনি লেগিন্স হাতা কাটা পরা নারী কর্মকর্তা থাকার কথা সেসব স্থানে দেখবেন না। প্রত্যেকেই একটা ড্রেস কোড মেনে চলে। তবে ইদানিং বাংলাদেশ ব্যাংকে অনেকেই অন্যান্য ব্যাংকের মত ড্রেস কোড ফলো না করে ইচ্ছা মত পোষাক পরে আসছে। আপনি কোনো ব্যাংকে পুরুষ ও নারী কর্মকর্তাকে জিন্স গ্যাভার্ডিন প্যান্ট পরতে না দেখলেও বাংলাদেশ ব্যাংকে যেখানে ক্যাশ টাকা লেনদেন হয় সেখানে আমি দেখেছি।
 
এসব কারণে ব্যাংকের সিনিয়ার কর্মকর্তারা সবাইকে ফর্মাল পোষাক পরিধান করতে বলেছে।
 
সেইম কাজ অন্য সব ব্যাংক করলে নিউজ হয় না, দোষ হয় না অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক করলে দোষ কেন হয়? আসলে এখানে হিজাবের বিষয়টা আছে, যে ড্রেস কোড শুধুমাত্র হিজাবীদের জন্য প্রযোজ্য সেটাকে প্রথম আলো গং এমনভাবে নিউজ করেছে যাতে মনে হবে সব নারীকেই হিজাব পরতে বাধ্য করা হয়েছে। এটাই প্রথম আলোর সাইন্স। তারা এভাবেই স্লো পয়জনিং করছে। সেইম স্লো পয়জনিং তারা তারেক রহমান সম্মন্ধে ১/১১ সরকারের আমলে করেছিল।
আল্লাহ আমাদেরকে প্রথম আলোর শয়তানী থেকে হেফাযত করুন।
 
পুনশ্চঃ পোষাকের নীতিমালার বিষয়টা বাংলাদেশ ব্যাংক প্রত্যাহার করে নিয়েছে। জয় প্রথম আলো দিল্লী স্টার।
বিদ্রঃ সরকারের উপদেস্টামন্ডলীতে আপনি প্রথম আলো পন্থী রেখে প্রথম আলো বিরোধী কোনো কাজ করতে পারবেন না।