
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহতদের মধ্যে ২০ জনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ৬ জনের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ড. সায়েদুর রহমান এতথ্য জানান।
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৭ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত ও দগ্ধ হয়েছেন দেড়শতাধিক। প্রাণ গেছে এফ সেভেন যুদ্ধবিমানটির পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগরেরও।
এর আগে সোমবার মধ্যরাতে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আরও চার শিক্ষার্থীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান। তারা হলেন- এরিকসন (১৩), আরিয়ান (১৩), নাজিয়া (১৩) ও সায়ান ইউসুফ (১৪)।
উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে হঠাৎ আছড়ে পরে বিমান বাহিনীর এফ সেভেন বিজিআই নামে প্রশিক্ষণ বিমান। দোতলা ভবনের নিচ তলায় আঘাত লেগে মুহূর্তেই বিমানের ট্যাংক বিস্ফোরিত হয়। আগুন ছড়িয়ে পড়ে দ্বিতীয় তলায়ও। আতঙ্কে ছুটতে থাকেন শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও কর্মচারীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বিমানটি বিধস্ত হওয়ার সময় যে বিকট শব্দ হয় তা কোনো বোমার থেকে কম নয়। প্রথমদিকে ঘটনাস্থলে আগুনের তীব্রতায় কেউ কাছে পৌঁছাতে পারেনি।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে ও উদ্ধার কাজে যোগ দেয় তারা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার।
আইএসপিআরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে আজ সোমবার বেলা ০১টা ০৬ মিনিটে ঢাকার কুর্মিটোলার বিমান বাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের পর যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়।