
রাজধানী উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ‘এফটি-৭ বিজিআই’ মডেলের একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক। এ নিয়ে গত ১৮ বছরে বাংলাদেশের বিমানবাহিনীর কতগুলো বিমান দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে এবং ভারতের বিমানবাহিনীর দুর্ঘটনার পরিমাণ কত তার একটা সংখ্যা ও তুলনা তুলে ধরেছেন সাংবাদিক আহমেদ হোসাইন।
সোমবার (২১ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য তুলে ধরেন তিনি।
পোস্টে তিনি লেখেন, ২০০৮ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর নিজের স্বীকার করা মোট দুর্ঘটনার সংখ্যা ১৪টি। একই সময়ে ভারতীয় বিমানবাহিনীর নিজের স্বীকার করা দুর্ঘটনার পরিমাণ ৮৫। কিন্তু, ভারতের আছে (২০২৪-এর হিসাব) ১ হাজার ২৯০টি বিমান আর ৫০০টি হেলিকপ্টার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর আছে (২০২৩-এর হিসাব) ১২৫টি বিমান ও ৬১টি হেলিকপ্টার। ভারতীয় বিমানবাহিনীর দুর্ঘটনার অনুপাত ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর দুর্ঘটনার অনুপাত ১০ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এটা ভারতের তুলনায় ৬ শতাংশ বেশি।
তিনি লেখেন, তারপরও ভারতের প্রতিরক্ষা ক্রয়ে দুর্নীতির সঙ্গে ট্রেনিং বিমান দুর্ঘটনা ও পাইলটদের মৃত্যুর সম্পর্ক নিয়ে আমির খানের অভিনয় করা একটা বিখ্যাত ছবিও আছে।
পোস্টে, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো দুর্ঘটনার হিসাব তুলে ধরেন তিনি।
* ৮ এপ্রিল ২০০৮ – চেংদু এফ‑৭ জেট দুর্ঘটনা (১টি)
* ২০ ডিসেম্বর ২০১০ – দুটি পিটি‑৬ প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় পড়ে (২টি)
* ৮ এপ্রিল ২০১২ – অ্যারো এল‑৩৯ ক্র্যাশ (১টি)
* ২৬ এপ্রিল ২০১২ – একটি পিটি‑৬ ভারতীয় ভূখণ্ডে জরুরি অবতরণ করে (১টি)
* ১৩ মে ২০১৫ – এমআই‑১৭ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা (১টি)
* ২৯ জুন ২০১৫ – এফ‑৭এমবি যুদ্ধবিমান বঙ্গোপসাগরে বিধ্বস্ত (১টি)
* ১১ জুলাই ২০১৭ – ইয়াক‑১৩০ দুর্ঘটনা, লোহাগড়ায় (১টি)
* ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭ – দুটি ইয়াক‑১৩০ মাঝ আকাশে সংঘর্ষে বিধ্বস্ত (২টি)
* ৩ জানুয়ারি ২০১৮ – এমআই‑১৭ হেলিকপ্টার ক্র্যাশ (১টি)
* ১ জুলাই ২০১৮ – কে‑৮ডব্লিউ প্রশিক্ষণ বিমান রাতের মিশনে যশোরে বিধ্বস্ত (১টি)
* ২৩ নভেম্বর ২০১৮ – এফ‑৭বিজি বিমান টাঙ্গাইলে দুর্ঘটনায় পড়ে (১টি)
* ৯ মে ২০২৪ – ইয়াক‑১৩০ বিমান চট্টগ্রামে বিধ্বস্ত (১টি)
* ২১ জুলাই ২০২৫ – এফ‑৭বিজিআই প্রশিক্ষণ জেট ঢাকায় একটি স্কুলে বিধ্বস্ত (১টি)