
ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বাবরা গ্রামে ১৭ বছরের এক কিশোরের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন ৪০ বছর বয়সী গৃহবধূ তাসলিমা খাতুন। একই গ্রামের বাসিন্দা মান্নান মিস্ত্রীর স্ত্রী তাসলিমা দুই সন্তানের জননী। তাদের বড় মেয়ে বিবাহিত এবং ছোট ছেলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ছে। দীর্ঘ ২২ বছরের সংসার জীবনের পর এমন ঘটনায় হতবাক হয়েছেন এলকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তাসলিমা খাতুন পালিয়ে গেছেন প্রতিবেশী ১৭ বছর বয়সী মেহেদী হাসানের সঙ্গে। মেহেদী সম্পর্কে তাসলিমার নাতি-সমতুল্য। ছোটবেলা থেকেই মেহেদী তার নানাবাড়িতে বড় হলেও স্থায়ীভাবে তার পরিবারের ঠিকানা বাবরা গ্রামেই। পার্শ্ববর্তী বাড়ির বাসিন্দা হওয়ায় নিয়মিত যোগাযোগ ছিল দুজনের মধ্যে। সেই ঘনিষ্ঠতাই একপর্যায়ে পরিণত হয় পরকীয়ায়।
তাসলিমার স্বামী মান্নান মিস্ত্রী বলেন, ‘১১ তারিখ রাতে পাশের একটি পরিত্যক্ত বিল্ডিংয়ে আমার স্ত্রীকে মেহেদীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখতে পেয়েছি। তখন সংসার ভেঙে যাবে ভেবে প্রথমে কাউকে কিছু বলিনি। কিন্তু সকালে দেখি, মেহেদী আমার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। এখন আমার ছোট ছেলে না খেয়ে ছটফট করছে। কীভাবে পারলো সে, এক নাবালক ছেলের সঙ্গে পালিয়ে যেতে! আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
ঘটনার পর মেহেদীর বাবা টোটন মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও ছেলের সঙ্গে এখনো কোনো যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। মেহেদীর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা হতবাক হয়ে পড়েছেন। এলাকাবাসী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে।