
গোপালগঞ্জে সমাবেশ শেষে অবরুদ্ধ হয়ে পড়া জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় অবশেষে জেলা ত্যাগ করেছেন।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে ১৫–১৬টি গাড়ির একটি বহর গোপালগঞ্জ ত্যাগ করে। বহরে ছিলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, আখতার হোসেন, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলমসহ দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা।
দলের যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহিন জানান, বিকেল ৫টার পর তারা নিরাপদে এলাকা ত্যাগ করেন।
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “আমাদের ভাইয়েরা নিরাপদে আছেন।” তিনি আরও জানান, সারা দেশের বিক্ষুব্ধ জনতার উদ্দেশে ব্লকেড কর্মসূচি প্রত্যাহার করে জেলার প্রতিটি পয়েন্টে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এর আগে এনসিপি নেতাদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনার পর দেশব্যাপী অবরোধের ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। স্থানীয়দের দাবি, গোপালগঞ্জে ওই হামলায় জড়িত ছিলেন নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ফাঁকা গুলি চালায়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যানবাহনেও হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনার পর জেলায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।