Image description
 
 
্যাটায়ার করায় বিটিভি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন দুজন। হাসিনা বিতাড়িত হলেও ‘ছাত্র উপদেষ্টা’ মাহফুজ আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা তথ্য মন্ত্রণালয়ে হাসিনার দুর্বৃত্তরা বহাল তবিয়তে?!
বাংলাদেশ টেলিভিশনে রেজাউর রহমানের উপস্থাপনায় ‘জনতার সামনে’ অনুষ্ঠানে স্যাটায়ার ধর্মী ৬ মিনিটের একটি নাটিকা প্রচার করা হয় গত ২৭ জুন।
নাটিকায় দেখা যায় ‘ভাই ভাই উচ্চ বিদ্যালয়'-এ সংকটকালীন সময়ে একজন সম্মানিত ব্যক্তিকে প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব দেয়,কিন্তু স্কুলের সিকিউরিটি গার্ডের কিছু কথায় স্কুলের প্রধান উপদেষ্টা আহত হয়ে পদত্যাগের কথা ভাবেন, কিন্তু সবাই মিলে তাকে বুঝিয়ে নিবৃত্ত করেন’
নাটিকার এ ঘটনাকে ড. ইউনূসের পদত্যাগের ভাবনার সঙ্গে মিলিয়ে হাসিনার ট্রেনিং পাওয়া তথ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্বৃত্তরা ড. ইউনূস বা জেনারেল ওয়াকারকে খুশি করতে দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে দিয়েছে!
বাংলাদেশ টেলিভিশনের কন্ট্রোলার/প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাহরিয়ার মোহাম্মদ হাসান, এবং প্রযোজক মোঃ নাসির উদ্দিনকে গত ১৩ জুলাই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে!
এবং বিটিভির পরিচালক বার্তা- নুরুল আজম,এবং অনুষ্ঠান নির্বাহী-মাহবুবা ফেরদৌস কে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা। সাময়িক বরখাস্তের চিঠিতে বলা হয়েছে,
“জনাব শাহরিয়ার মোহাম্মদ হাসান, কন্ট্রোলার/প্রোগ্রাম ম্যানেজার (চলতি দায়িত্বে), বাংলাদেশ টেলিভিশন, ঢাকা কেন্দ্র, তিনি 'জনতার সামনে' নামীয় অনুষ্ঠানটি প্রচারের পূর্বে প্রিভিউ করেছেন এবং কোন মতামত প্রদান ছাড়াই প্রচারের জন্য প্রেরণ করেন। সে পরিপ্রেক্ষিতে ২৭.০৬.২০২৫ তারিখ রাত ০৯:০০ টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে অনুষ্ঠানটি প্রচার হয়। কিন্তু প্রচারকালে দেখা যায় যে, উক্ত অনুষ্ঠানে সরকারি কার্যকলাপ পরিপন্থি বিষয় উপস্থাপন করায় সরকার তথা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। এবং
“জনাব মোঃ নাসির উদ্দিন, প্রযোজক (গ্রেড-১) বাংলাদেশ টেলিভিশন, ঢাকা কেন্দ্র তিনি 'জনতার সামনে' নামীয় অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেছেন এবং অনুষ্ঠানটি প্রচার উপযোগী মর্মে প্রত্যয়ন করেছেন যা গত ২৭.০৬.২০২৫ তারিখ রাত ০৯:০০ টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে সরকারি কার্যকলাপ পরিপন্থী বিষয়ে উপস্থাপন করায় সরকার তথা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।”
কথিত ভাব+মূর্তির কথা বলে এ দুজনকে
“সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ৩ (ক) অনুযায়ী অদক্ষতা ও ৩(খ) অনুযায়ী অসদাচরণের সামিল যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত বিধিমালার বিধি ১২(১) অনুযায়ী “সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরাখাস্ত করা হয়েছে।
পলাতক হাসিনা আমলের মতোই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের অধিকার নিয়ে সরকার পক্ষের ‘অসহনশীলতা’ এখনো চলছে। অবিলম্বে এই সব ফাজলামো বন্ধ করে বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি । পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতারসহ তথ্যমন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রনাধীন প্রতিষ্ঠান গুলোর বিষয়ে যে কোন তথ্য জানাতে ই-মেইল করুন [email protected] ঠিকানায়