
দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে বেকার যুবকের কর্মসংস্থান তৈরি করাই মূল লক্ষ্য হলেও লাখ লাখ কর্ম প্রত্যাশীর স্বপ্ন যেন এখনো অধরা রয়ে গেছে। শিক্ষিত ও দক্ষতা থাকার পরও নেই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা।
বিশ্বে জনবহুল দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ৮ নম্বরে। সরকারি হিসাবে জনসংখ্যা ১৭ কোটির বেশি। এর মধ্যে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সিদের সংখ্যা প্রায় ৫ কোটি।
পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, দেশে ২৬ লাখ উচ্চশিক্ষিত বেকারসহ মোট কর্মহীনের সংখ্যা ৭৬ লাখের বেশি। এক বছরের ব্যবধানে বেকার জনগোষ্ঠী বেড়েছে দশমিক ৩৩ শতাংশ।
যে যুব সমাজের চোখে স্বপ্ন ছিল অগ্রগতির, তাদের পদচারণা আজ থমকে গেছে চাকরির অজানা চৌকাঠে।
বিশেষায়িত বিষয়ে পড়ালেখা করেও চাকরি পাচ্ছেন না অনেকে। কারণ দেশে ওই সব বিষয়ে কাজের সুযোগ নেই বললেই চলে। ফলে বিদেশে চলে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকে না।
যুব উন্নয়ন অধিদফতর বলছে, উচ্চতর ডিগ্রি নেয়ার পরও শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা না থাকায় মিলছে না কাজ। আবার দক্ষ যুবসমাজ তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারলেও পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান নেই।
যুব উন্নয়ন অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান বলেন,
দেখা যায় যে অনার্স ও মাস্টার্স পাস করেছে, কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোনো কাজ করার দক্ষতা তাদের থাকে না। আমরা এই দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রতি বছর প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। যতজনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি, তার শতভাগকেই কর্মে নিয়োজিত হওয়ার নিশ্চয়তা দিতে পারছি না। তবে এটার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিল্পের সঙ্গে আলোচনা করে দক্ষতা উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা সাজাতে না পারলে আগামী দিনে আরও বাড়বে বেকারত্ব।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক (যুব ও কর্মসংস্থান) ও অধ্যাপক আবুল বাশার মো. ওমর ফারুক বলেন,
সমস্যাটা হচ্ছে কাঠামোগত। মূলত ভেতরের জিজাইন ও ডেলিভারিতে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। শুধু দেশীয় বাজারকে চিন্তা করলে হবে না। আন্তর্জাতিক বাজারেও তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ, সহায়তা এবং সক্ষমতা বাড়াতে হবে।