
যশোরের অভয়নগরে ছাত্রকে শাসন করায় হাফেজ মাওলানা রফিকুল ইসলাম (২৩) নামের এক শিক্ষকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রের বাবা জাহাঙ্গীর শেখের (৪৫) বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার বিকেলে উপজেলার শুভরাড়া ইউনিয়নের গোপীনাথপুর কেন্দ্রীয় মসজিদ মাদরাসায়। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর উপজেলার শুভরাড়া ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা। ভুক্তভোগী মাদরাসার মোহতামিম হাফেজ মাওলানা রফিকুল ইসলাম নওয়াপাড়া পৌরসভার গুয়াখোলা গ্রামের শাহজাহান ফারাজীর ছেলে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর শেখের ছেলে বিল্লাল হোসেন (৯) দীর্ঘদিন ধরে মাদরাসায় পড়ালেখা করছে তবে লেখাপড়ায় অমনোযোগী হওয়ায় কোন উন্নতি হচ্ছিল না। এমতাবস্থায় ছেলেকে শাসনের মধ্যে রেখে পড়া আদায় করতে বলেন ছাত্র বিল্লালের বাবা জাহাঙ্গীর। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি পড়া না পারার কারণে ছাত্র বিল্লালকে শাসন করেন শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। এ সময় তাকে ৩-৪টি লাঠির আঘাতও করা হয়। আর তাতেই রেগে যায় জাহাঙ্গীর শেখ। রোববার বিকেলে মোটরসাইকেলযোগে এসে আচমকা শিক্ষকের ওপর হামলা চালান তিনি। এ সময় মাথা ফেটে গুরুতর আহত হন শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। পরে মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকরা তাকে উদ্ধার করে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান সবুজ বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় রফিকুল ইসলাম নামের এক মাদরাসাশিক্ষক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার মাথা ফেটে গেছে। ১৪টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন আশঙ্কামুক্ত।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে। অভয়নগর থানার ওসি আব্দুল আলীম বলেন, একজন শিক্ষককে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার খবর পেয়েছি। তবে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।