জয়পুরহাট শহরের নিজ বাড়ি থেকে এক পোশাক ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের আরাফাত নগরের নিজ বাড়ির শয়নকক্ষে সেলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার লাশ ঝুলছিল। তবে আত্মহত্যার কারণ এখনও জানা যায়নি।
নিহত পোশাক ব্যবসায়ী ওয়াকিল আহাম্মেদ অনিক (৩২) জয়পুরহাট মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের একমাত্র ছেলে। জয়পুরহাট শহরের স্বাক্ষর প্লাস নামে একটি পোশাকের দোকান রয়েছে।
প্রতিবেশীরা জানান, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর জয়পুরহাট মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। এর পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। ওয়াকিল আহাম্মেদ তাঁদের শহরের বাসায় ছিলেন। তিনি ব্যবসার পাশাপাশি বাবার পরিবহন ব্যবসাও দেখাশুনা করতেন। আত্মগোপনে থাকার পর তাঁর বাবা হঠাৎ করেই মঙ্গলবার রাতে আরাফাত নগরের বাসায় ফেরেন। ছেলে অনিক নিজে এসে বাসার দরজা খুলে দিয়েছিলেন। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে কাজের মেয়ে বাড়িতে এসে অনিকের ঘরের দরজায় গিয়ে ডাকাডাকি করেন। তিনি ঘর থেকে বের হচ্ছিলেন না। তখন দরজা খোলা দেখে ঘরে ঢোকে অনিককে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার করতে থাকেন। এ সময় অনিকের বাবা ও বাসার ভাড়াটিয়ারা ছুটে আসেন। তখন সেলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অনিকের ঝুলন্ত লাশ নামানো হয়।
সকালে বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, অনিকের মরদেহ বাড়ির বারান্দায় রাখা হয়েছে। গলায় কালচে দাগ রয়েছে। প্রতিবেশী ডাবলু বলেন, অনিক ভাই খুব ভালো মানুষ। তিনি কেন আত্মহত্যা করলেন তা কেউ বলতে পারছে না। রাতে অনিক ভাইয়ের বাবা হঠাৎ করে বাড়িতে এসেছেন। অনিক ভাই রাতে বাসার দরজা খুলে দিয়েছিলেন। অনিক ভাইকে এভাবে দেখব তা কখনো ভাবতে পারিনি।
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ আল মামুন বলেন, আত্মগোপনে থাকা রফিকুল ইসলামের ছেলে ওয়াকিল আহাম্মেদ আত্মহত্যা করেছেন। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি।