Image description

বৃহস্পতিবার বিডিআর বিদ্রোহের মামলার বিচারকাজ বকশীবাজার এলাকার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসায় অস্থায়ী আদালতে শুরু হচ্ছে।

তবে সকালে আদালতের কার্যক্রম শুরুর কথা থাকলেও সর্বশেষ বেলা ১১টা পর্যন্ত আদালতের কোন কার্যক্রম শুরু হয় নি।

এর আগে, মাদ্রাসা মাঠে অস্থায়ী আদালত বসানোর প্রতিবাদে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে লাঠিসোঁটানিয়ে অবস্থান নেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের দাবি, মাঠটিতে মাদ্রাসার পূর্বনির্ধারিত বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবার কথা রয়েছে। ফলে সেখানে আদালত বসতে দেয়া হবে না।

আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ থেকে বিবিসি সংবাদদাতা জান্নাতুল তানভী জানিয়েছেন, আদালতের কোন কর্মকর্তা বা আইনজীবী কাউকেও মাদ্রাসা মাঠে দেখা যায় নি এখনো।

শহীদ মিনারে অবস্থানরত বিডিআর পরিবারের একজন সদস্য শাকিল আহমেদ বিবিসি বাংলাকে জানান, "গত ২৮শে নভেম্বর এ মামলার জামিন শুনানি করেনি আদালত। কারণ দেখিয়েছিল আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে শুনানি হবে, প্রজ্ঞাপন জারি হবে।"

কিন্তু এখনো আদালতের কার্যক্রম শুরু না করায় তিনি হতাশা ব্যক্ত করেন।

এদিকে, পুলিশের লালবাগ ডিসি ও সেনাবাহিনীর একটি ইউনিটের সাথে মাদ্রাসা মাঠে বৈঠকে বসেছেন আলিয়া মাদ্রাসারশিক্ষার্থীরা।

এর আগে গত রাতেই এজলাস কক্ষে আগুন দেয়া হয়েছিল।

ফায়ার সার্ভিসের লালবাগের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বিবিসি বাংলাকে জানান, “রাত চারটা বিশে খবর পেয়ে এখানে আসি। রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে ব্যারিকেড দেয়া ছিল। স্থানীয়দের সহায়তায় গেইট পর্যন্ত পৌঁছাই।

নানা প্রতিকূলতার কারনে ভেতরে ঢুকতে পারিনি। আমরা এসে আগুনের শাখা-বিশাখা পাইনি, ধোঁয়ার কুন্ডলি দেখেছি। এখন সরেজমিন তদারকি করছি আমরা।”

এ সময় এজলাস কক্ষে পুড়ে যাওয়া ছাই পড়ে থাকতে দেখা যায় বলে তিনি জানান।

বিবিসি সংবাদদাতা জানিয়েছেন, অনুষ্ঠান উপলক্ষে মাঠেই একটি প্যান্ডেল দেখা যায়। পাশে ডেকোরেটরের অনেক চেয়ার রাখা হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয়ার পর বকশীবাজার মোড় থেকে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের সতর্ক অবস্থান নিতে দেখা গেছে। সেখানে কোন যানবাহন প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।

সবশেষ বকশীবাজার মোড়ে সেনাবাহিনীর সদস্যদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

সকালে আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বিডিআর মামলার শুনানি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠেই হবে।

এদিকে বিডিআর পরিবারের সদস্যরা শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬শে ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হন।