
‘ সমঝোতা , নাকি মরতে চান'- মোটাদাগে এই প্রস্তাবের আশঙ্কায় এখন দিন গোনেন রাজধানীর পল্লবীর আবাসন ব্যবসায়ীরা । ফোনে বা সরাসরি লোক পাঠিয়ে তাঁদের এই প্রস্তাব দিচ্ছে একদল সন্ত্রাসী । কেউ ভয় পেয়ে সমঝোতা করছেন , কেউ সাড়া না দিয়ে চুপ থাকছেন । তাঁদের বেশির ভাগ থানায় যাচ্ছেন না কিংবা মামলা করছেন না । গত পাঁচ মাসে বৃহত্তর পল্লবীর অন্তত সাতটি আবাসনপ্রতিষ্ঠানের মালিকেরা এমন হুমকির শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে ।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ , কেউ যদি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সমঝোতায় হামলা হয় , গুলি চলে বা প্রাণনাশের হুমকি আসে । সন্ত্রাসীদের দাবি , হয় তাদের কাছ থেকে নির্মাণসামগ্রী নিতে হবে ( যা নিম্নমানের কিন্তু বাজারদরের চেয়ে অনেক বেশি দাম হয় ) অথবা মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হবে । গত শনিবার পল্লবীর আলব্দিরটেক এলাকায় এ কে বিল্ডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানের অফিসে হামলা চালায় একদল সন্ত্রাসী । এর আগে ২৭ জুন ও ৪ জুলাই আরও দুই দফা সেখানে হামলা করা হয়েছিল । ৪ জুলাইয়ের ঘটনার পর প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো . কাইউম আলী খান পল্লবী থানায় সাধারণ ডায়েরি ( জিডি ) করেন । জিডির এক সপ্তাহ পরই আবার হামলা হয়েছে ।
গোপনে চলে সমঝোতা স্থানীয়ভাবে অভিযোগ রয়েছে , এ কে বিল্ডার্স ছাড়াও এই সন্ত্রাসী সিন্ডিকেটের হুমকির শিকার হয়েছে নাসির ঠিকাদার , বি এইচ বিল্ডার্স , ব্যাংকার্স হাউজিং , সিটি লাইটসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান । তবে এদের কেউ প্রকাশ্যে থানায় অভিযোগ করেনি । সবাই চুপচাপ ‘ সমঝোতা ’ করে যাচ্ছে । ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ( ডিএমপি ) মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এ বিষয়ে বলেন , ‘ যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে , তারা পল্লবীর কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসীর সঙ্গে যুক্ত । যাদের নামে চাঁদা দাবি করা হয় , গ্রেপ্তার তিনজন তাদের দ্বিতীয় স্তরের লোক । হোতাদের বিষয়ে তদন্ত চলছে । কেউ কেউ দেশেও নেই । আমরা তাদের অবস্থান ও সম্পৃক্ততা যাচাই করছি । '