
চলতি বছরের এসএসসি, দাখিল এবং সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার। এতে পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা গতবারের চেয়ে অনেক কমেছে। দেশের ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে এবার গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। মোট ১৯ লাখ ৪ হাজার ৮৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৩ লাখ তিন হাজার ৪২৬ জন। ১১টি বোর্ডে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী। গতবার পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ, আর জিপিএ-৫ পায় এক লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন।
এবার সবচেয়ে বেশি পাস করেছে রাজশাহী বোর্ডে ৭৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ। আর সবচেয়ে কম পাস করেছে বরিশাল বোর্ডে ৫৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকেও শীর্ষে রাজশাহী। ১২ দশমিক ৩৮ শতাংশ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। আর সবচেয়ে কম জিপিএ-৫ পেয়েছে মাদরাসা বোর্ডে ৩ দশমিক ১৬ শতাংশ। পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে সব বোর্ড মিলিয়ে এবারো ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে আছে। এবার ছাত্রের চেয়ে ছাত্রী ৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেশি পাস করেছে এবং ৮ হাজার ২০০ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
গতকাল দুপুর ২টায় প্রকাশ হয় ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল। তবে অন্যবারের মতো কোনো জাঁকজমক আয়োজন বা আনুষ্ঠানিকতা ছিল না। জুলাই বিপ্লবের পর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে ভিন্ন আবহে প্রকাশ হলো এই ফল। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গতকাল দুপুর ২টায় দেশের শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট সব পরীক্ষা কেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং এসএমএসের মাধ্যমে একযোগে এই ফল প্রকাশ করা হয়। সাধারণ নিয়মানুযায়ী ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করার কথা থাকলেও তার আগে ৫৬ দিনের মাথায় এই ফল প্রকাশ করা হলো।
শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে ফল জানতে পারলেও রাজধানীসহ দেশের বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে জড়ো হন শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। ভালো ফল পেয়ে আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠেন অনেকে। তবে প্রত্যাশিত ফল না পেয়ে বা অনুত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশা ছড়িয়ে পড়ে।
ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। এ সময় ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির। এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা কম হলেও তা যথাযথ মূল্যায়নের বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ফলাফলের সার্বিক চিত্র তুলে ধরে অধ্যাপক এহসানুল কবির জানান, এবার ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি (ভোকেশনাল), দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় তিন হাজার ৭১৪টি কেন্দ্রে মোট অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ছিল ১৯ লাখ ৪ হাজার ৮৬ জন।
৯ লাখ ৫১ হাজার ৬৯৭ জন ছাত্রের মধ্যে পাস করেছে ৬ লাখ ২৬ হাজার ৯৮১ জন (৬৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ)। আর ৯ লাখ ৫২ হাজার ৩৮৯ ছাত্রীর মধ্যে পাস করেছে ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৪৪৫ জন (৭১ দশমিক ০৩ শতাংশ)।
এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ৭৩ হাজার ৬১৬ জন এবং ছাত্র ৬৫ হাজার ৪১৬ জন।
এবার মোট ৩০ হাজার ৮৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে ৯৮৪টি প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাস এবং ১৩৪টি প্রতিষ্ঠানে কেউ (শূন্য পাস) পাস করেনি। গতবার ২৯ হাজার ৮৬১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শতভাগ পাস করেছিল ২ হাজার ৯৬৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। আর শূন্য পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল মাত্র ৫১টি। এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২২৭টি বাড়লেও কেন্দ্র সংখ্যা ৮৫টি কম ছিল।
গত ১০ এপ্রিল এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়ে ১৫ মে শেষ হয়। এবার ১৯ লাখ ৩৬ হাজার ৫৭৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করলেও বাস্তবে অংশ নেয় ১৯ লাখ ৪ হাজার ৮৬ জন। অর্থাৎ ৩২ হাজার ৪৯৩ জন অনুপস্থিত ছিল।
৯ সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের ফল বিশ্লেষণ
দেশের দুই হাজার ২৯০টি কেন্দ্রে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের ১৮ হাজার ১১৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এবার পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩১০ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১০ লাখ ৬ হাজার ৫৫৪ জন। মোট পাসের হার ৬৮ দশমিক ০৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ১৮ জন। ৯ বোর্ডে ৬৫ দশমিক ১১ শতাংশ ছাত্র এবং ৭০ দশমিক ৬৭ শতাংশ ছাত্রী পাস করেছে। এছাড়া ৫৮ হাজার ২৩৮ ছাত্র এবং ৬৬ হাজার ৭৮০ ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
ঢাকা বোর্ডের তিন লাখ ৭৯ হাজার ২৪৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ জন (৬৭ দশমিক ৫১ শতাংশ)। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৭ হাজার ৬৮ জন (৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ)। রাজশাহী বোর্ডের এক লাখ ৮০ হাজার ৩১০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে এক লাখ ৩৯ হাজার ৯৮৩ জন (৭৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ)। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২ হাজার ৩২৭ জন (১২ দশমিক ৩৮ শতাংশ)। কুমিল্লা বোর্ডের এক লাখ ৬৭ হাজার ৫৭২ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে এক লাখ ৬ হাজার ৫৮১ জন (৬৩.৬০ শতাংশ)। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৯০২ জন (৫.৯১ শতাংশ)। যশোর বোর্ডের এক লাখ ৩৮ হাজার ৮৫১ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে এক লাখ দুই হাজার ৩১৯ জন (৭৩.৬৯ শতাংশ)। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ৪১০ জন (১১.১০ শতাংশ)।
চট্টগ্রাম বোর্ডের এক লাখ ৪০ হাজার ৩৮৮ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে এক লাখ এক হাজার ১৮১ জন (৭২ দশমিক ০৭ শতাংশ)। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৮৪৩ জন (৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ)। বরিশাল বোর্ডের ৮২ হাজার ৯৩১ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪৬ হাজার ৭৫৮ জন (৫৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ)। জিপিএ-৫ পেয়েছে তিন হাজার ১১৪ জন (৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ)। সিলেট বোর্ডের এক লাখ দুই হাজার ২১৯ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৭০ হাজার ৯১ জন (৬৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ)। জিপিএ-৫ পেয়েছে তিন হাজার ৬১৪ জন (৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ)।
দিনাজপুর বোর্ডের এক লাখ ৮২ হাজার ২৩৪ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে এক লাখ ২২ হাজার ১৪৬ জন (৬৭ দশমিক ০৩ শতাংশ)। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ৬২ জন (৮ দশমিক ২৭ শতাংশ)। ময়মনসিংহ বোর্ডের এক লাখ ৫ হাজার ৫৫৮ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৬১ হাজার ৪৫৬ জন (৫৮ দশমিক ২২ শতাংশ)। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৬৭৮ জন (৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ)।
মাদরাসা বোর্ডের ফল
মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৭২৫ কেন্দ্রে ৯ হাজার ৬৮টি মাদরাসা থেকে এবারের দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল দুই লাখ ৮৬ হাজার ৫৭২ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছে এক লাখ ৯৫ হাজার ১১৫ জন। পাসের হার ৬৮ দশমিক ০৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৬৬ জন (৩ দশমিক ১৬ শতাংশ)। মাদরাসা বোর্ডেও পাসের হারে এগিয়ে মেয়েরা (৭০ দশমিক ৪৭ শতাংশ)। ছেলেদের পাসের হার ৬৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ। তবে জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে ছেলেরা চার হাজার ৮৮৭ জন। মেয়েদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ১৭৯ জন।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফল
কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে ৬৯৯ কেন্দ্রে এবার ২ হাজার ৯০১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট এক লাখ ৩৮ হাজার ২০৪ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি (ভোকেশনাল)/দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে পাস করেছে এক লাখ এক হাজার ৭৫৭ জন। পাসের হার ৭৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৯৪৮ জন (৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ)। এ বোর্ড থেকে এক লাখ ৪ হাজার ৮৯২ ছাত্রের মধ্যে পাস করেছে ৭৪ হাজার ৫৬৯ জন (৭১ দশমিক ০৯ শতাংশ)। আর ৩৩ হাজার ৩১২ ছাত্রীর মধ্যে পাস করেছে ২৭ হাজার ১৮৮ জন (৮১ দশমিক ৬২ শতাংশ)। দুই হাজার ২৯১ ছেলে এবং দুই হাজার ৬৫৭ মেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
১১ বোর্ডে সাবজেক্টভিত্তিক পাসের চিত্র
সব বোর্ডের ফলাফলে দেখা গেছে তুলনামূলক গণিতে কম পাস করেছে। ঢাকা বোর্ডে বাংলায় ৯৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ, ইংরেজিতে ৮৭ দশমিক ৮৫ এবং গণিতে ৭৫ দশমিক ১৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। রাজশাহীতে বাংলায় ৯৮ দশমিক ৯০ শতাংশ, ইংরেজিতে ৯৩ দশমিক ১০ শতাংশ, গণিতে ৮৬ দশমিক ৫২ শতাংশ পাস করেছে।
কুমিল্লা বোর্ডে বাংলায় ৯৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ, ইংরেজিতে ৮৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং গণিতে ৭২ দশমিক ০১ শতাংশ; যশোরে বাংলায় ৯৭ দশমিক ৯২ শতাংশ, ইংরেজিতে ৮৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং গণিতে ৮৫ দশমিক ০২ শতাংশ; চট্টগ্রামে বাংলায় ৯৮ দশমিক ৬২ শতাংশ, ইংরেজিতে ৮৩ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং গণিতে ৮১ দশমিক ৫৩ শতাংশ; বরিশালে বাংলায় ৯২ দশমিক, ৭৫ শতাংশ, ইংরেজিতে ৬৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং গণিতে ৬৪ দশমিক ৬২ শতাংশ; সিলেটে বাংলায় ৯৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ, ইংরেজিতে ৮৯ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং গণিতে ৮৩ দশমিক ১৭ শতাংশ; দিনাজপুরে বাংলায় ৯৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, ইংরেজিতে ৮৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং গণিতে ৭১ দশমিক ৩৫ শতাংশ; ময়মনসিংহে বাংলায় ৯৭ দশমিক ২১ শতাংশ, ইংরেজিতে ৮৪ শতাংশ ৪৪ শতাংশ এবং গণিতে ৬৪ দশমিক ২৭ শতাংশ; মাদরাসা বোর্ডে বাংলায় ৯৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ, ইংরেজিতে ৯২ দশমিক ০২ শতাংশ এবং গণিতে ৭৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ; কারিগরিতে বাংলায় ৯৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ, ইংরেজিতে ৯৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ এবং গণিতে ৮৮ দশমিক ৭২ শতাংশ পাস করেছে।
বিদেশ কেন্দ্রের তথ্য
বিদেশের ৮টি কেন্দ্র থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল ৪২৭ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩৭৩ জন। ৫৪ জন ফেল করেছে। পাসের হার ৮৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
পুনঃনিরীক্ষণ শুরু আজ
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার খাতা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন শুরু হচ্ছে আজ শুক্রবার। ১৭ জুলাই পর্যন্ত এসএমএসের মাধ্যমে এই আবেদন নেওয়া হবে। আবেদন পদ্ধতি শিক্ষাবোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট এবং টেলিটকের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা যাবে।
ফলে যথাযথ মূল্যায়ন হয়েছে : আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক
এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার খাতা যথাযথভাবে মূল্যায়ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির। তিনি বলেন, এবার খাতা দেখার ক্ষেত্রে আমাদের ওপর থেকে কোনো নির্দেশনা বা চাপ ছিল না। আমরাও বিশেষ কোনো নির্দেশনা দেইনি। তবে আমরা পরীক্ষকদের সময় দিয়ে যথাযথভাবে খাতা মূল্যায়নের কথা বলেছি। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এবারের ফলাফলে।