
বিদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস বা নাগরিকত্ব পাওয়ার স্বপ্ন অনেকেরই থাকে। তবে উচ্চশিক্ষা, চাকরি বা বড় অঙ্কের বিনিয়োগ ছাড়া এই স্বপ্ন পূরণ অনেক ক্ষেত্রেই কঠিন। তবে আশার কথা হলো—বিশ্বের কিছু দেশ রয়েছে যেখানে বিয়ের মাধ্যমেই তুলনামূলক সহজে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়।
চলুন জেনে নিই এমনই কিছু দেশের নাম, যেখানে ভালোবসা শুধু জীবনসঙ্গীই নয়, হতে পারে নতুন পাসপোর্ট পাওয়ার চাবিকাঠিও।
১. তুরস্ক
তুরস্কের নাগরিককে বিয়ে করলে এবং বিয়ের পর অন্তত তিন বছর একসাথে বসবাস করলে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়।
বিশেষ সুবিধা: তুরস্কের পাসপোর্ট দিয়ে ১১০টিরও বেশি দেশে ভিসা ফ্রি বা অন অ্যারাইভাল সুবিধা।
২. স্পেন
স্প্যানিশ নাগরিককে বিয়ে করে মাত্র এক বছর একসাথে বসবাস করলেই নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়।
বিশেষ সুবিধা: স্পেন নাগরিকত্ব পেলে লাতিন আমেরিকা, ফিলিপাইন, পর্তুগালসহ কয়েকটি দেশের দ্বৈত নাগরিকত্ব পাওয়া যায়।
৩. আর্জেন্টিনা
আর্জেন্টিনার নাগরিককে বিয়ের পর দুই বছর পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা সম্ভব।
শর্ত: বৈধ বিয়ের প্রমাণ, অপরাধমুক্ত থাকার রেকর্ড, এবং সাধারণ স্প্যানিশ ভাষাজ্ঞান।
৪. মেক্সিকো
মেক্সিকোর নাগরিককে বিয়ে করে দুই বছর একসাথে বসবাস করলেই মিলতে পারে নাগরিকত্ব।
শর্ত: স্প্যানিশ ভাষার মৌলিক জ্ঞান ও বৈধ বিয়ের সনদ।
৫. সুইজারল্যান্ড
সাধারণভাবে অভিবাসনের জন্য কঠোর হলেও, বিয়ের মাধ্যমে নাগরিকত্বের পথ তুলনামূলক সহজ।
শর্ত: সুইস নাগরিকের সঙ্গে তিন বছর বৈধভাবে বিবাহিত অবস্থায় থাকা এবং দেশে মোট পাঁচ বছর বসবাস, অথবা বিদেশে ছয় বছর বিবাহিত থাকা।
৬. কেপ ভার্ড
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই আফ্রিকান দ্বীপরাষ্ট্রে বিয়ের পরপরই নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়।
শর্ত: বৈধভাবে কেপ ভার্ডের নাগরিককে বিয়ে করা।
মনে রাখবেন:
প্রতিটি দেশের জন্য আলাদা আলাদা শর্ত এবং প্রক্রিয়া রয়েছে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রয়োজন হয় বৈধ বিয়ের প্রমাণ, অপরাধমুক্ত থাকার রেকর্ড এবং ভাষাজ্ঞান।
নাগরিকত্ব মানেই সেই দেশের অধিকার, সুবিধা ও দায়িত্ব – তাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভালোভাবে জেনে-বুঝে আগানো জরুরি।