Image description

টানা বর্ষণ ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে নোয়াখালীতে তলিয়ে গেছে বেশ কিছু সড়ক। জেলা শহরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার গ্রামীণ সড়কগুলো ইতিমধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিতে ডুবে গেছে বিভিন্ন অফিস আদালতও। এমন পরিস্থিতিতে জেলার পাঁচ উপজেলার সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম ও পরীক্ষা বুধবার ও বৃহস্পতিবার (৯ ও ১০ জুলাই) পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে, ফেনীতে প্রবল বর্ষণ ও উজানের পানিতে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৪টি স্থান ভেঙে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে হাজারো মানুষ হয়ে পড়েছে পানিবন্দি। পানিবন্দি হয়েছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ। 

এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন— পরীক্ষা হবে কিনা? দুই জেলাতে বন্যা পরিস্থিতি বড় আকার ধারণ করায় সেখানকার পরীক্ষার্থীদের ভেতর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, বোর্ড যদি মাঠপর্যায়ের খবর না জানে, তাহলে আমাদের কষ্ট কে দেখবে? আরেকজনের বক্তব্য, পরীক্ষা স্থগিত না হলে অনেকেই সমস্যায় পড়বে। পরীক্ষা মানে শুধু হলে গিয়ে এক্সামে বসা না, প্রস্তুতির বিষয়ও থাকে। ঘরে পানি থাকলে পড়াশোনা করব কীভাবে?

যদিও বন্যাকবলিত এলাকায় এইচএসসি পরীক্ষা পেছানো বা স্থগিতের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মাঠপর্যায়ের সুনির্দিষ্ট তথ্য না পাওয়ায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়নি বলেও জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক সচিব।

আজ বুধবার (৯ জুলাই) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে আমরা গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। তবে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর বাস্তব চিত্র আমাদের জানা নেই। বোর্ডগুলোও আমাদের কিছু জানায়নি। তারা যদি মাঠ পর্যায়ের তথ্য পাঠাত, তাহলে আমরা বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর পরীক্ষার বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম।