
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী শাহিন সিদ্দিক এবং বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান দুদকের তলবে হাজির হননি। তাদের বক্তব্য নেওয়ার জন্য দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা বুধবার সকাল থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু, সকাল থেকে বিকাল গড়িয়ে গেলেও তারা দুদকে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দিতে যাননি। তবে দুদক জানিয়েছে, দুইজনের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
দুদকের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাদের বক্তব্য শুনতে গত ৩০ জুন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী শাহিন সিদ্দিক এবং বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানকে তলব করে চিঠি প্রদান করেন। ওই চিঠি তাদের বাড়ির ঠিকানায় পৌঁছে দেয় দুদক। বুধবার তাদের দুদকে হাজির হওয়ার সময় ছিল। কিন্তু, তারা দুইজনই দুদকে হাজির হননি।
এ বিষয়ে বেলা ৩ টার দিকে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে জানান, তলবের বিষয়টি অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার রুটিন ওয়ার্ক। তদন্তের স্বার্থে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা এটি তদন্তের কার্যাবলীর মধ্যে পড়ে। যে দুইজনকে তলব করা হয়েছিল তাদের আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
তিনি আরো জানান, তারা দুদকের তলবে হাজির না হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ হারিয়েছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
দুদক জানায়, সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, স্ত্রী শাহীন সিদ্দিক ও মেয়ে নুরিন সিদ্দিকের ২৪ বিঘা জমিসহ ৫টি প্লট ও ৫টি ফ্ল্যাটের সন্ধান পায় দুদক। এছাড়াও ভূমি জবরদখল, অর্থ আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এবং তার পরিবারের সদস্যদের গত মে মাসেও তলব করেছিল দুদক। তলব নোটিশে বলা হয়, আহমেদ আকবর সোবহান তার পরিবারবর্গ ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘সরকারের রাজস্ব ফাঁকি, ভূমি জবরদখল, ঋণের অর্থ আত্মসাৎ, অর্থ স্থানান্তর ও হস্তান্তরসহ মানি লন্ডারিং’এর অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বক্তব্য গ্রহণ করা হবে।