Image description
জাতীয় সংসদ নির্বাচন । নির্ধারিত ৬১টি প্রতীকের মধ্যে অবশিষ্ট মাত্র ১৩টি । সতর্কতার সঙ্গে খোঁজা হচ্ছে নতুন নতুন প্রতীক । ১৯৯১ সালে পেঁপে, পেঁয়াজ, মুলা, ফুলকপিসহ নির্ধারণ করা হয় ১৪০টি প্রতীক ।

৩৪ বছর পর নির্বাচন কমিশন আবারও প্রতীক সংকটে পড়েছে। ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে সংকটে পড়ে সংস্থাটি। সে সময় ১১১টি রাজনৈতিক দল ও জোট নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রতীক বরাদ্দের আবেদন জানালে নির্বাচন কমিশনকে দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য ১৪০টি প্রতীক বরাদ্দ করতে হয়। পেঁপে, পেঁয়াজ, মুলা, ফুলকপি, খাট, চেয়ার, শিলপাটা, বালতি—এসবও নির্বাচনী প্রতীকের তালিকায় স্থান পায়।

পরে দলের সংখ্যা কমে এলে এবং দল নিবন্ধনের ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর নামসর্বস্ব দলের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ বন্ধ হয়। সেই সঙ্গে প্রতীকের সংখ্যাও কমে আসে। এবার আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত দলের সংখ্যাও বাড়তে চলেছে। বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫০।
 
নিবন্ধন পাওয়ার জন্য আবেদন করেছে আরো ১৪৪টি দল। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য কিছু প্রতীক নির্ধারণ করে রাখতে হবে।

অন্যদিক বিদ্যমান নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার সংশ্লিষ্ট বিধিতে প্রতীক বরাদ্দ রয়েছে ৬১টি। সম্প্রতি বরাদ্দ নেই এমন তিনটি প্রতীক—সোনালি আঁশ, কেটলি ও ইগল প্রতীক তিনটি দলকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

নির্ধারিত প্রতীকগুলোর মধ্যে অবশিষ্ট রয়েছে কলারছড়ি, কুমির, কুড়াল, খাট, তবলা, তরমুজ, দাবাবোর্ড, দালান, বাঁশি, বেঞ্চ, বেলুন, শঙ্খ ও স্যুটকেস—এই ১৩টি প্রতীক। নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা কয়েকটি দল নির্ধারিত এসব প্রতীকের বাইরে কিছু প্রতীক বরাদ্দ চেয়েছে। নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি চেয়েছে শাপলা, কলম ও মোবাইল ফোন। এনসিপির প্রথম চাহিদা শাপলা। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের ১০১ আইনজীবী এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, এনসিপিকে ‘শাপলা’ প্রতীক বরাদ্দ দিতে কোনো আইনগত বাধা নেই।
 
এ ছাড়া নতুন দলগুলোর মধ্যে জনতা পার্টি চেয়েছে হাতি এবং জনতার দল চেয়েছে চাবি প্রতীক। এই অবস্থায় এখন আরো কী কী নতুন প্রতীক নির্ধারণ করা যায় তার অনুসন্ধানে রয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সম্প্রতি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আরো অনেক নতুন প্রতীক খুঁজছি।’

 

গত বৃহস্পতিবারও তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের সঙ্গে প্রতীকেরও একটি সম্পর্ক আছে। আমরা এখন প্রতীকের সংখ্যা বাড়াব। এ বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। প্রতীকের সংখ্যা বাড়াতে হবে এ কারণে, ১৪৪টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদন করেছে। এসব দল সবাই নিবন্ধন পেলে ১৪৭টি প্রতীক লাগবে। সে জন্য আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি। নতুন প্রতীক খুঁজছি।’

এদিকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, শুধু জাতীয় সংসদ নয়, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্যও অনেক নতুন প্রতীকের প্রয়োজন হবে। প্রতীক নির্ধারণের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে সতর্কভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ, ১০ বছর আগে নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নারী প্রার্থীদের জন্য চকোলেট, পুতুল, ফ্রক, কাঁচি, ভ্যানিটি ব্যাগ, মৌমাছি, আঙুর, গ্যাসের চুলা ও হারমোনিয়াম—এসব প্রতীক ব্যবহার করে ক্ষোভের মুখে পড়ে এবং পরে তা প্রত্যাহার করে নেয়। স্থানীয় সরকারের বিদ্যমান নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় মেয়র, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এসব পদে নির্বাচনের জন্য ৩৯টি দলীয় প্রতীক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য আরো ১২-১৩টি করে প্রতীক বরাদ্দ রয়েছে। ১০-১২টি করে প্রতীক বরাদ্দ রয়েছে সংরক্ষিত আসনের নারী প্রার্থীদের জন্য। কিন্তু জনদাবি ও স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুসারে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নির্দলীয় হলে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করা যাবে না। সে ক্ষেত্রে মেয়র, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান—এসব পদে ভোট হলে বেশ কিছু নতুন প্রতীক প্রয়োজন হতে পারে। আবার স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রতীক সংসদ নির্বাচনে ব্যবহারের নজির নেই। সংসদ নির্বাচনে প্রায় একই রকম দেখায় এমন প্রতীকও নির্ধারণ করা যাবে না। নৌকা প্রতীতের সঙ্গে জাহাজ প্রতীকটির কিছু মিল থাকায় জাহাজ প্রতীকটি বাদ দেওয়া হয়। একটি দল তাদের প্রতীক হিসেবে গম বা জবের শীষ চেয়েছিল, কিন্তু ওই প্রতীক ধানের শীষের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ হওয়ায় আপত্তির মুখে তা দেওয়া হয়নি।

৩৪ বছর আগে যে সমস্যা হয়েছিল : ১৯৭২ সালের নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার সংশ্লিষ্ট বিধিতে সংসদ নির্বাচনের জন্য ৭৩টি প্রতীক নির্ধারণ করা ছিল। এসব প্রতীক নিয়েই চারটি সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়। কিন্তু সমস্যা সৃষ্টি হয় পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়। সে সময় ১১১টি রাজনৈতিক দল বা জোট নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রতীক বরাদ্দের জন্য আবেদন জানায়। ওই সময় নির্বাচন কমিশনে দল নিবন্ধনের বাধ্যবাধকতা না থাকায় যেকোনো দল বা জোটের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল। এ অবস্থায় রাজনৈতিক দল বা জোটের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের চাহিদা বিবেচনায় রেখে তৎকালীন নির্বাচন কমিশন নতুন করে ১৪০টি প্রতীক নির্ধারণ করে। এর মধ্যে ৯০টি প্রতীক রাখা হয় রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য, আর ৫০টি প্রতীক রাখা হয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য।

বিচারপতি আবদুর রউফের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে ‘নির্বাচন কার্যক্রম প্রতিবেদন’ প্রকাশ করে গেছে তাতে সে সময় এই প্রতীক সংকটের বিষয়টি বিস্তারিতভাবে উল্লেখ রয়েছে। ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সে সময় নির্বাচন কমিশন সচিবালয় প্রতীক নির্ধারণের জন্য আবেদনকারী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আগের নির্বাচনগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলোর অনুকূলে বরাদ্দ প্রতীকের প্রতি যথাসম্ভব লক্ষ রেখে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। দলগুলোর অতীত ও বর্তমান সদস্যসংখ্যা এবং আগের নির্বাচনগুলোতে কাদের অংশগ্রহণ ও ফলাফল এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দলগুলোর অবদান ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হবে। যেসব রাজনৈতিক দল একটি বিশেষ প্রতীকের জন্য আবেদন জানাবে, সম্ভব হলে সে প্রতীক ওই দলের জন্য বরাদ্দ হবে। একই প্রতীকের জন্য একাধিক দলের দাবি থাকলে নির্বাচন কমিশন দলগুলোকে সমঝোতার অনুরোধ জানাবে। সমঝোতা না হলে নির্বাচন কমিশন নিজস্ব পদ্ধতি অবলম্বন করবে এবং প্রয়োজনবোধে লটারির আয়োজন করবে। এ ছাড়া যেসব দল তাদের পছন্দের তালিকায় একাধিক প্রতীক রেখেছে তাদের পছন্দ যথাসম্ভব বিবেচনায় নেওয়া হবে। তবে সে সময় ১১১টি দল বা জোট প্রতীক বরাদ্দ চাইলেও নির্বাচনে অংশ নেয় ৭৫টি জোট বা দল।

সে সময় যে ১৪০টি প্রতীক নির্ধারণ হয় : ৩৪ বছর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য যে ১৪০টি প্রতীক নির্ধারণ করা হয় সেগুলো হচ্ছে—উড়োজাহাজ, আলমারি, নোঙর, আপেল, কুড়াল, বৈঠা, বৈয়ম, বেলুন, বাঁশের ঝুড়ি, বটগাছ, ব্যাটারি, বেঞ্চ, ঘণ্টা, পান, বাইসাইকেল, নৌকা, বই, তির ও ধনুক, বালতি, গরুরগাড়ি, ইট, দালান, বাস, প্রজাপতি, খাঁচা, উট, ক্যামেরা, মোমবাতি, মোটরগাড়ি, ঠেলাগাড়ি, ফুলকপি, চেয়ার, দেয়ালঘড়ি, মোরগ, ডাব (নারিকেল), শামুক, গাভি, কাপ ও পিরিচ, কুমির, ডালিম, খেজুরগাছ, হরিণ, ঢেঁকি, হাঁস, একতারা, বৈদ্যুতিক বাল্ব, বৈদ্যুতিক পাখা, হাতি, হাতপাখা, ফেজটুপি, মাছ, মশাল, ফ্লাস্ক, ফুটবল, কড়াই, ফুলের মালা, হাতুড়ি, পাঞ্জা, হেলিকপ্টার, বড়শি, হুক্কা, ঘোড়া, কুঁড়েঘর, দোয়াত-কলম, কাঁঠাল, ঝুমঝুমি, কামরাঙা, কেতলি, চাবি, খাট, ঘুড়ি, কুলা, মই, প্রদীপ, হারিকেন, সিংহ, গলদা চিংড়ি, তালা, পদ্মফুল, আম, দিয়াশলাই, মাথাল, মাইক, মিনার, চাঁদ, মোড়া, মগ, মুলা, পিঁয়াজ, কমলা, পালকি, টিয়াপাখি, পেঁপে, ময়ূর, কবুতর, আনারস, পিঁড়ি, কলসি, থালা, লাঙল, পাওয়ার টিলার (কলের লাঙল), রেডিও (ট্রানজিস্টার), রেলওয়ে ইঞ্জিন, রিকশা, আংটি, উদীয়মান সূর্য, রকেট, গোলাপ ফুল, কলার ছড়া, করাত, দাঁড়িপাল্লা, সেলাই মেশিন, ধানের শীষ, শীলপাটা, জাহাজ, কাস্তে, কোদাল, চশমা, চরকা, চামচ, তারকা, স্যুটকেস, তরবারি, টেবিল, টেবিলঘড়ি, টেলিফোন, টেলিভিশন, টিফিন ক্যারিয়ার, বাঘ, লাটিম, ট্রাক, ফুলের টব, নলকূপ, পানির গ্লাস, পাগড়ি, ছাতা, ছড়ি, চাকা, হুইসেল (বাঁশি) ও হাতঘড়ি।

বর্তমানে নির্ধারিত ৬১টি প্রতীক : ২০১৭ সালে সংসদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য নির্ধারণ করা হয় ৬১টি প্রতীক। এগুলো হচ্ছে—আপেল, আম, উদীয়মান সূর্য, একতারা, কবুতর, কলার ছড়ি, কাঁঠাল, কাস্তে, কুমির, কুলা, কুড়াল, কুঁড়েঘর, কোদাল, খাট, খেজুরগাছ, গরুরগাড়ি, গাভি, গামছা, গোলাপ ফুল, ঘণ্টা, চাকা, চেয়ার, ছড়ি, ছাতা, ট্রাক, টেলিভিশন, ডাব, তবলা, তারা, তরমুজ, দাবাবোর্ড, দালান, দেয়ালঘড়ি, ধানের শীষ, নোঙর, নৌকা, ফুলকপি, ফুলের মালা, বটগাছ, বাইসাইকেল, বাঁশি, বেঞ্চ, বেলুন, মই, মোটরগাড়ি (কার), মশাল, মাছ, মাথাল, মিনার, মোমবাতি, রকেট, রিকশা, লাঙল, শঙ্খ, সিংহ, স্যুটকেস, হাত (পাঞ্জা), হাতঘড়ি, হাতপাখা, হাতুডি ও হারিকেন।

এই ৬১টি প্রতীকের বাইরেও কয়েকটি দলকে সম্প্রতি সেনালি আঁশ, কেটলি, ইগল ও দাঁড়িপাল্লা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মোট ৫০টি রাজনৈতিক দলকে বরাদ্দ দেওয়ার পর নির্ধারিত প্রতীকগুলোর মধ্যে অবশিষ্ট রয়েছে—কলারছড়ি, কুমির, কুড়াল, খাট, তবলা, তরমুজ, দাবাবোর্ড, দালান, বাঁশি, বেঞ্চ, বেলুন, শঙ্খ ও স্যুটকেস।

নারী প্রার্থীদের প্রতীক নিয়ে আলোচিত অসন্তোষ : ২০১৫ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে নারী প্রার্থীদের পক্ষ থেকে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশের ঘটনা ঘটে। সে সময় নারী প্রার্থীদের প্রেশারকুকার, কেটলি, পানপাতা, দোলনা, টিসু বক্স, মুলা, ভ্যানিটিব্যাগ—এসব ঘরোয়া বা গৃহস্থালি সম্পর্কিত প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। অন্যদিকে সাধারণ ওয়ার্ডে হাতি, ঘোড়া, চিতাবাঘ, ঘড়ি, ক্রিকেট ব্যাট, টেলিস্কোপ, ল্যাপটপ, ডিস অ্যান্টেনা, জাহাজ, রেডিওর মতো প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। বিষয়টিকে সে সময় নারীদের প্রতি পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবের প্রকাশ হিসেবে মূল্যায়ন করে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। নির্বাচন কমিশন থেকে সে সময় বলা হয়, ভবিষ্যতে তারা এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করবে। কিন্তু ওই বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনেও একই ঘটনা ঘটে। সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থীদের জন্য নির্বাচনী প্রতীক রাখা হয় চুড়ি, চকোলেট, পুতুল, ফ্রক, কাঁচি, ভ্যানিটি ব্যাগ, মৌমাছি, আঙুর, গ্যাসের চুলা ও হারমোনিয়াম। সে সময় বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী বলেন, এমন সব প্রতীক নারী কাউন্সিলরদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে, যা অত্যন্ত অবমাননাকর। পরে নির্বাচন কমিশন ওই ধরনের প্রতীক বরাদ্দ থেকে বিরত থাকে।