
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার এখনই সময়। সংস্কার কমিশনের রিপোর্টে বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয়ের কথা বলা হলেও তা সরকারের অগ্রাধিকার তালিকায় স্থান না পাওয়া দুঃখজনক।শনিবার বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে রংপুরে ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, পৃথক সচিবালয় ও গণঅভ্যুত্থানের পূর্ণতা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এমন মন্তব্য করেন।
রংপুরের আরডিআরএসের বেগম রোকেয়া মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় রংপুর বিভাগের আট জেলার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজসহ বিচার বিভাগীয় বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রংপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজির। সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুল ইসলাম।
সভায় বিচারকরা চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের বিচার বিভাগ সংস্কার উদ্যোগের ওপর বিশেষ আলোকপাত করেন। তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ কমিশন রিপোর্টে থাকলেও তা সরকারের অগ্রাধিকার তালিকায় স্থান পায়নি।
বক্তারা বলেন, জেলা আদালতের বিচারকদের নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি ও শৃঙ্খলাসংক্রান্ত ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের অধীনে না থাকায় বিচার বিভাগ বারবার নির্বাহী প্রভাবের মুখোমুখি হচ্ছে। বক্তারা বিচারকদের জন্য ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের স্কেলে স্থবির হয়ে থাকা জুডিশিয়াল ভাতার অচলাবস্থারও সমালোচনা করেন এবং একটি পৃথক ও স্বাধীন পে-কমিশন গঠনের দাবি জানান।