Image description

নাটোরে মোবাইলে ‘ফ্রি ফায়ার গেম’ খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র মিনহাজ হোসেন আবিরকে খুন করে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র হযরত। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। 

শুক্রবার (২৭ জুন) সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বড়াইগ্রাম সার্কেল) শোভন চন্দ্র হোড়। 

নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বড়াইগ্রাম সার্কেল) শোভন চন্দ্র হোড় বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে আবির ও হযরত একসঙ্গে বসে মোবাইল ফোনে ফ্রি ফায়ার গেম খেলছিল। খেলতে গিয়ে দু’জনের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। এক পর্যায়ে হযরত রেগে গিয়ে পাশে থাকা ইট দিয়ে আবিরের মাথায় বারবার আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় আবির। 

এ সময় পাশেই থাকা শুকনা গাছের পালার নিচে মরদেহ লুকিয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায় হযরত। শুক্রবার সকালে পুলিশ তাকে আটক করে। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে সে আবিরকে হত্যার কথা স্বীকার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়। 

একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে প্রবাসী মিলন বলেন, ‘আমার আবির কোনো অন্যায় করেনি– শুধু মোবাইল ফোনে একটা গেম খেলত। একটা গেম, সামান্য রাগ, আর এক মুহূর্তের ভুল–আমার বুক থেকে ওকে চিরতরে কেড়ে নিল। আমি কিছুই চাই না আর, শুধু চাই– আর কোনো বাবার বুক যেন খালি না হয়। মোবাইলের আসক্তি থেকে আমাদের সন্তানদের রক্ষা করা এখনই সবচেয়ে জরুরি। সন্তানকে সময় দিন, ভালোবাসুন। কারণ সুযোগ হারালে কিছুই আর ফিরে আসে না।’
 
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার ওসি গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে পুলিশ অভিযুক্ত শিশুটিকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আবিরের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।