
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের আরও আট নেতাকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন:
১। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা (৭৯)
২। মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব (৫৫)
৩। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সদস্য মো. তরিকুল ইসলাম (৩৮)
৪। সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিন (৪৬)
৫। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল মওলা (৬২)
৬। ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল ওহায়াব (৫৮)
৭। লালবাগ থানা ২৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বাবু (৪৩)
৮। আওয়ামী লীগের ৯২ নম্বর ওয়ার্ডের সহ-দপ্তর সম্পাদক জাকির হোসেন আলী (৬১)।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, রোববার (২২ জুন ২০২৫) রাত ৮টা ২৫ মিনিটে উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে কে এম নুরুল হুদাকে গ্রেফতার করা হয়। একই রাতে তেজগাঁও থানার মনিপুরীপাড়া এলাকা থেকে মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লবকে গ্রেফতার করে ডিবি-লালবাগ জোনাল টিম।
রাত ১২টা ৩০ মিনিটে কদমতলী থানাধীন শনির আখড়া এলাকা থেকে মো. তরিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে ডিবি-মতিঝিল বিভাগের মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার টিম। ভোররাতে ৪টা ৪৫ মিনিটে নবাবগঞ্জ এলাকা থেকে সাবিনা আক্তার তুহিনকে গ্রেফতার করে ডিবি-ওয়ারী বিভাগ।
একই সময়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে মনিরুল মওলাকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় গ্রেফতার করা হয়। রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে কলাবাগান এলাকা থেকে আব্দুল ওহায়াব এবং রাত ২টা নাগাদ মেহেদী হাসান বাবুকে গ্রেফতার করে ডিবি-মিরপুর বিভাগ। পল্লবী থানা এলাকা থেকে রাত ১টা ৩০ মিনিটে গ্রেফতার করা হয় জাকির হোসেন আলীকে।
ডিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় সুনির্দিষ্ট মামলা রয়েছে। তারা সংঘবদ্ধভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্ট করে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
এই তথ্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়েছে।