
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহমুদুল হককে শহীদ ছমেস উদ্দিন হত্যা মামলায় জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার বিকেল ৪টায় শুনানি শেষে যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত-১ (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত মহানগর দায়রা জজ)-এর বিচারক মোছা. মার্জিয়া খাতুন জামিন মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শিক্ষক মাহমুদুল হকের আইনজীবী শামীম আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলখানা থেকে মহানগর দায়রা জজকে জানানো হয়, মাহমুদুল হক খুব অসুস্থ। তারপর আমরা পুনরায় আবেদন করেছিলাম। পরে যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক মোছা. মার্জিয়া খাতুন জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।’
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১-এ (হাজীরহাট আমলি আদালত) শিক্ষক মাহমুদুল হকের জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবীরা। সে সময় আইনজীবীদের বক্তব্য উপস্থাপনের পর বিচারক সোয়েবুর রহমান আগামী মঙ্গলবার জামিন আবেদনের ওপর শুনানির আদেশ দেন।
এ দিকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ছমেস উদ্দিন হত্যা মামলায় মাহমুদুল হককে গ্রেপ্তারের ঘটনায় গতকাল শনিবার রাতে রংপুর মহানগরের হাজীরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আল মামুন শাহকে বদলি করা হয়। আবদুল আল মামুন শাহ তাঁর বদলির তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলীর স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, আবদুল আল মামুন শাহ রংপুর মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে দায়িত্ব পালন করবেন। অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তাঁকে রংপুর মহানগর পুলিশের পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের পরিদর্শকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রংপুর মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক রাজিবুল ইসলামকে হাজীরহাট থানার ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মাহমুদুল হককে রংপুর নগরের ধাপ ইঞ্জিনিয়ারপাড়া এলাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে হাজীরহাট থানা-পুলিশ। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে থাকা মাহমুদুল হক রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। গত আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে ৩ জুন হাজীরহাট থানায় ৫৪ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন নগরের রাধাকৃষ্ণপুর মৌলভীপাড়ার বাসিন্দা আমেনা বেগম। মামলার ৫৪ নম্বর আসামি মাহমুদুল হক।
মাহমুদুল হকের স্ত্রীর মাসুবা হাসানের অভিযোগ, তাঁর স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। যে হত্যা মামলায় মাহমুদুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তিনি (ছমেস উদ্দিন) হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। মামলার বাদীর কাছ থেকে হাজীরহাট থানার ওসি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছেন। পরে ইচ্ছামতো আসামি করেছেন।