
সিলেটে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। কয়েক দিনে সর্দি ও জ্বরে আক্রান্ত ৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় তিনজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের একজন ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি। করোনার সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালকে কভিড ডেডিকেটেড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত দুটি আরটি-পিসিআর ল্যাব। শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান জানান, হাসপাতালটিকে কভিড ডেডিকেটেড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত করা হয়েছে আইসিইউ বিভাগ। বাড়তি জনবলের চাহিদাপত্র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সিলেটের স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক ডা. মো. আনিসুর রহমান জানান, করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ না হওয়ায় আপাতত শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের ৩০ শয্যার একটি ওয়ার্ড করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত হয়েছে। বিভাগের যেখানেই করোনা আক্রান্ত রোগীর আইসিইউ সেবার প্রয়োজন পড়বে, তাকে এ হাসপাতালে আনা হবে। বর্তমানে ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। আর প্রস্তুত রাখা হয়েছে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব। এ ছাড়া বেসরকারিভাবে এনজিও সংস্থা সীমান্তিকের ল্যাবেও করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, সিলেটে করোনা আক্রান্তদের দুজনের বাড়ি সিলেটে ও একজনের সুনামগঞ্জে। এর মধ্যে বয়স্ক এক পুরুষকে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং শুরু হয়েছে। থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে বিদেশ ফেরতদের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। একই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে সবকটি স্থলবন্দরেও।
খুলনায় দুই নারী করোনা আক্রান্ত : খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই নারীর করোনা শনাক্ত হয়েছে। তারা হলেন- সুমাইয়া আক্তার ও তানিয়া। সুমাইয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তানিয়াকে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. খান আহমেদ ইশতিয়াক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।