Image description

ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে চলতি মাসের শুরুতে নতুন নকশা সমৃদ্ধ নোট বাজারে ছাড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রথম দফায় এসেছে ২০, ৫০ এবং ১০০০ টাকার নোট। তবে এই নোটের ব্যবহার নিয়ে বিড়াম্বনায় পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদের।

চেষ্টা করেও এটিএম ও সিআরএম মেশিনে টাকা জমা দিতে পারছেন না তারা। একই অবস্থা মেট্রোরেলের ক্ষেত্রেও। ২০ ও ৫০ টাকার নোট দিয়ে ভেন্ডিং মেশিন থেকে টিকিট কাটা যাচ্ছে না।

ব্যাংকাররা বলছেন, এটিএম-এ নতুন নোট ব্যবহার সহজ হলেও সমস্যা হচ্ছে সিআরএম মেশিনে। বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন তারা। এরইমধ্যে যুক্ত করা হয়েছে সিআরএম মেশিন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে। ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে বলেও আশ্বাস তাদের।

যমুনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা ইলিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, সিআরএমে সমস্যাটা কেন হচ্ছে? আপনি যদি টাকা তুলেন তাহলে ১ হাজার টাকা উঠাইতে কোনও সমস্যা নাই। কিন্তু টাকা যখন জমা দেবেন, তখন মেশিন নতুন নোট চিনতে পারতেছে না। আমরা অনেকে ভেন্ডরকে বলেছি, ১০-১৫ দিন সময় লাগবে হয়তো।

ইসলামী ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার বলেন, সিআরএমের ক্ষেত্রে যে সমস্যা হচ্ছে সেজন্য আমরা আমাদের ভেন্ডরকেও যুক্ত করেছি। আশা করতেছি এক সপ্তাহের ভেতরে এটা হয়তো সমাধান হয়ে যাবে, আশা করতেছি।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, সিআরএম ও ভেন্ডিং মেশিনের ক্ষেত্রে সমস্যার ধরণ প্রায় একইরকম। নতুন টাকার সাথে মেশিনের সফটওয়ারের সমন্বয় করতে কিছুটা সময় লাগছে। দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, এটিএম বা সিআরআম মেশিনের যে সফটওয়্যার তাতে কিন্তু নোটটাকে চেনাতে হয়। অন্যথায় সফটওয়্যার এটাকে শুধু কাগজ হিসেবে গণনা করবে এবং কাগজ সেখানে ইনসার্ট করার কোনও সুযোগ নেই। এ কারণে সে এটাকে বাতিল করবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, নতুন নকশার নোট বাজারে আসার পরপরই ঈদের ছুটি ছিল। সেজন্য সমস্যার সমাধানে একটু সময় লাগছে।