Image description

Shafin Rahman( শাফিন রহমান)


 
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের প্রবাস জীবনের বেশ কিছু এসিভমেন্ট হতে হতেও অজানা কারণে থমকে গিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ২০১২ সালে তারেক রহমানের সাথে সৌদি পলিটিশিয়ান এন্ড বিশ্নেজম্যান তালাল বিন আব্দুল আজিজের সাক্ষাৎ। তাদের দুজনের সাক্ষাতের দিন তারিখ ধার্য হলেও কোনো এক অজানা কারণে তা বিগড়ে যায়।
 
সৌদি পলিটিশিয়ান তালাল বিন আব্দুল আজিজ সম্পর্কে অনেকেই জানেন আবার অনেকেই জানেন না। তিনি একাধারে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, লেখক ইত্যাদি। তিনি সৌদির যোগাযোগমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন। এমনকি ৬০'এর দশকে তিনি দুটি দেশের এম্বাসেডরও ছিলেন― এগুলি তার সাধারণ পরিচয়। তবে এসবের বাইরে এই ব্যক্তি ছিলেন একজন অত্যন্ত ঝানু ওয়ার্ল্ডক্লাস নেগোসিয়েটর। তার ছিল শতাধিক কনসালটেন্সি এন্ড লবিং ফার্ম। বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি হওয়ার দরুন তিনি ছিলেন মারাত্মক ক্ষমতাবান একজন মানুষ।
 
ভিক্টরিয়া নুল্যান্ড বা ডোনাল্ড লু যদি হয় পশ্চিমের রেজিম চেন্জ স্পেশালিস্ট, তবে তালাল বিন আব্দুল আজিজ হলেন আরবের রেজিম চেন্জ স্পেশালিস্ট। কথিত ছিল: তিনি যার কাঁধে হাত রাখেন, তার ভাগ্যের দুয়ার খুলে যায়। উদাহরণ হিসেবে পাকিস্তানের নেওয়াজ শরীফের কথা বলা যায়।
তো এমন একজন ক্ষমতাধর মানুষের সহিত আলোচনা নির্ধারিত হওয়ার পরও তা ভেস্তে যাওয়া কি স্বাভাবিক..? মোটেই না। কারন ভেতরে-বাহিরে একটি বা একাধিক পক্ষ কখনোই চায়নি তারেক রহমান নিজ ডানায় ভর করে উড়তে শিখুক।
 
আপনি খেয়াল করলে দেখবেন, তারেক রহমানের দীর্ঘ সময়ের প্রবাস জীবনে দুইবার হজ্জ ব্যতীত তিনি আর কখনোই ব্রিটেনের বাইরে পা রাখেননি। আরো নির্দিষ্ট করে বললে- লন্ডনেই তিনি আইসোলেটেড।সত্যিকার অর্থে তাকে আইসলেট করে রাখা হয়। আর এই কাজটা করেন তার চারপাশের ছুপা শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
 
কিন্তু এবার নিয়মের হেরফের হয়েছে...
 
গতকাল লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সাথে তারেক রহমানের দেড় ঘন্টা যাবৎ ফেস টু ফেস ইন্টারেকশন হয়েছে। এই ইন্টারেকশন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কারন ওই দেড় ঘন্টাতে তাকে পুরো লিস্ট সহ খাতা ধরিয়ে দিয়েছেন ডক্টর ইউনুস। জবাব তারেক রহমান সত্য সম্পর্কে অবগত হয়েছেন।
উক্ত আলোচনার সফলতা ব্যর্থতার হিসেব করলে দেখা যাবে এই আলোচনার মাধ্যমে মূলত বিএনপির কিছু নেতাদের খৎনা হয়ে গেছে।
 
খৎনার একটি উদাহরণ এভাবে দেওয়া যেতে পারে: “দুদিন আগেও বিএনপির যে নেতারা জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের পদত্যাগ চেয়ে যমুনায় গিয়েছিলেন, সেই খলিলুর রহমানকে দিয়েই তার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে লন্ডনে রিসিভ করানো হয়েছে”। এটাকে বলে মনস্তাত্ত্বিক মুসলমানি।
এই আলোচনার মাধ্যমে মূলত সামগ্রিকভাবে বিএনপিকে খোলা ময়দানে নিয়ে আসা হয়েছে। অর্থাৎ: পার্টনার হলে ওপেন পার্টনার, রাইভাল হলে ওপেন রাইভাল। কোনোপ্রকার শ্যাডো গেম চলবে না। উপরন্তু স্ট্যান্ডিং কমিটির ৭৫% শ্যাডো গেমারদের প্রতি ইহা একটি শক্তিশালী বার্তা।
 
মুখে এক, কাজে আরেক― এর মাধ্যমে যারা ছায়ার মত বিরোধী শক্তি হিসেবে সংস্কার কাজে বাঁধা দিচ্ছে, সুন্দর এই আলোচনার মাধ্যমে সেইসব শ্যাডো অপারেটিভদের ন্যাংটা করে দেওয়া হলো এবং তারেক রহমানের এসিভমেন্টের খাতায় একটি প্লাস (+) যুক্ত করে দেওয়া হলো।
আপাতদৃষ্টিতে, গতকাল লন্ডনের এই আলোচনা বিএনপিতে শহীদ জিয়ার আদর্শ লালনকারীদের জন্য সুখবর একইসাথে চাটুকার, সুযোগসন্ধানীদের জন্য সতর্কবার্তা।