Image description
চলতি সপ্তাহে চূড়ান্ত হতে পারে গঠনতন্ত্র

সাংগঠনিক কার্যক্রমে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে বিপ্লবীদের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি। ঈদুল আজহার ছুটি কাটিয়ে নবোদ্যমে সাংগঠনিক কর্মসূচিতে ফিরছে দলটি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দল গোছানোয় ব্যস্ত সময় পার করছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। চলতি সপ্তাহে চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে দলীয় গঠনতন্ত্র।

গঠনতন্ত্র সম্পর্কে জানতে চাইলে গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ও এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. জাবেদ রাসিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের কাছ থেকে খসড়া গঠনতন্ত্রের বিষয়ে ইতিবাচক মন্তব্য পাওয়া গেছে। চলতি সপ্তাহে দলের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আশা করছি এই সভায় গঠনতন্ত্রটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হবে।’ জাবেদ রাসিন বলেন, ‘একটি রক্তক্ষয়ী গণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জন্ম নেওয়া রাজনৈতিক দল এনসিপির গঠনতন্ত্রে নতুনত্ব থাকবে। আমরা চেষ্টা করেছি গতানুগতিকতার বাইরে বেরিয়ে ব্যতিক্রম একটি গঠনতন্ত্র প্রণয়নের। দলের অভ্যন্তরে গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখার উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে এনসিপির গঠনতন্ত্র। এক নেতা কেন্দ্রিক দল যেন হয়ে না ওঠে সেটিও নিশ্চিত করা হয়েছে। আশা করছি, দেশের জনগণ এনসিপির গঠনতন্ত্রকে সাদরে গ্রহণ করবেন।’

এদিকে তৃণমূলে শক্তিশালী সাংগঠনিক ভিত্তি তৈরিতে দেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের অলিগলি পাড়া-মহল্লায় গণসংযোগ, পথসভা ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে দলের কলেবর বৃদ্ধিতে আদাজল খেয়ে নেমেছে দলটির শীর্ষ নেতারা। ঈদের সময় জুলাই শহীদ পরিবারগুলোর সঙ্গে থাকার পাশাপাশি উঠান বৈঠক করেছেন তারা।

ঈদের আগের সপ্তাহজুড়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল আর রাজধানী ঢাকায় টানা পথসভা আর গণসংযোগ কর্মসূচি চালিয়েছে এনসিপি। দক্ষিণাঞ্চলের বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ছাদখোলা ট্রাকে চড়ে দলীয় প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম দলীয় প্রচারণা চালিয়েছেন গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, দিনাজপুর আর নীলফামারীর ৩১টি উপজেলায়। সপ্তাহের শেষ দিকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুরে গণসংযোগ করেছেন দলের প্রধান নাহিদ ইসলাম। এনসিপি নেতাদের এই সফরগুলোকে ইতিবাচকরূপে গ্রহণ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। ফেসবুক রাজনীতির বাইরে বেরিয়ে ভোটের মাঠ কেন্দ্রিক প্রচার-প্রচারণাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরাও। দলের যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘জুলাই গণ অভ্যুত্থানের বিপ্লবীদের ভোটের মাঠ কেন্দ্রিক কর্মসূচিগুলো সব মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে এসব কর্মসূচি আরও বাড়বে। দেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে দেশ পরিবর্তনের বার্তা পৌঁছানোর লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে এনসিপি। পুরো দেশব্যাপী চালানো হবে গণসংযোগ কার্যক্রম। অংশ নেবেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। জনগণের সামনে তারা উপস্থাপন করবেন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রূপরেখা।’ এ ছাড়া মৌলিক সংস্কার, বিচার ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন সামনে রেখে এনসিপির রাজনৈতিক কর্মসূচি চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।