Image description

ইসরায়েল রাজধানী তেহরানে হামলা করার পর সেখানে ক্রোধ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন অনেক বাসিন্দা। ট্যাক্সিচালক মাহমুদ দুররিতে (২৯) বলেন, ‘ইসরায়েল আমাদের কমান্ডারদের হত্যা করেছে। ওরা কি চাইছে যে আমরা ওদের চুমু দেব? অপরাধের উপযুক্ত শাস্তি ওরা পাবে- চোখের বিনিময়ে চোখ।’ খবর সিএনএনের।

অন্যদিকে পারি পাউরগাজি (৩১) নামের এক শিক্ষক বলেন, ‘ইরান যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, এটা ভালো হয়েছে। ওরা মনে করে যা চাইবে তাই করতে পারবে। কিন্তু গাজা বা লেবাননকে যেমন চাপা দিতে চাইছে, এখানে তা পারবে না।’

আবার অটো মেকানিক হুশাং এবাদিতে (৬১) বলেন, ‘আমি আমার দেশকে সমর্থন করি। কিন্তু চাই যুদ্ধ থেমে যাক। কারণ যুদ্ধে কারও ভালো হয় না।’

শুক্রবার (১৩ জুন) স্থানীয় সময় ভোররাতে ইরানে বড় আকারের বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এর জবাবে শনিবার (১৪ জুন) ভোররাতে পাল্টা হামলা চালায় ইরান। দু’দেশই সেই রাতজুড়ে একে অপরকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালিয়েছে।

 

সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যে, ইরানে অনেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীর মৃত্যু হয়েছে এই হামলায়। এর মধ্যে রয়েছে ইরানের আধাসামরিক বিপ্লবী গার্ডের প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামির মৃত্যুসংবাদ। অপর দিকে, ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরির মৃত্যুসংবাদও নিশ্চিত করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।

ইসরায়েলের এই হামলার জবাবে তেল আবিবে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এর ফলে অন্তত ৮০ জন আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৩ জন আশঙ্কাজনক এবং পরে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গেছে। ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম জানিয়েছে যে, আরও অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছে, অপর দিকে অনেকে হালকা আঘাত বা মানসিক আতঙ্কে আছেন।