দীর্ঘদিন ধরে স্থির হয়ে আছে সরকারের জন্ম নিয়ন্ত্রণ প্রচার কার্যক্রম। এক সময় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা থাকায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছিল। কিন্তু এখন জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন কমছে। জাতীয় পর্যায়ে গ্রাম এবং শহর সর্বত্রই মানুষ কম জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করছে। ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এসভিআরএস প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৬১ দশমিক ১ শতাংশে, যা ২০২২ সালে ছিল ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ। এছাড়া ২০২১ সালে ছিল ৬৫ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০২০ সালে ৬৩ দশমিক ৯ এবং ২০১৯ সালে ছিল ৬৩ দশমিক ৪ শতাংশ।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৩ সালে গ্রামে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির হার ছিল ৬১ দশমিক ৬ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিল ৬২ দশমিক ৯ শতাংশ। এছাড়া ২০২১ সালে ৬৫ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০২০ সালে ছিল ৬৩ দশমিক ১ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে ছিল ৬২ দশমিক ৭ শতাংশ।প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, ২০২৩ সালে শহরে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির হার ছিল ৬৩ দশমিক ৯ শতাংশে, যা ২০২২ সালে ছিল ৬৪ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০২১ সালে ৬৫ শতাংশ, ২০২০ সালে ৬৪ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে ৬৪ দশমিক ৪ শতাংশ.পদ্ধতির ক্যাটাগরি ভেদে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারকারীর হার ছিল (যে কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করত) ২০২৩ সালে ৬২ দশমিক ১ এক শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিল ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ। এছাড়া ২০২১ সালে ৬৫ দশমিক ৬ শতাংশ, ২০২০ সালে ৬৩ দশমিক ৯ এবং ২০১৯ সালে ৬৩ দশমিক ৪ শতাংশ।এদিকে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে ২০২৩ সালে ছিল ৬১ শতাংশ, ২০২২ সালে ৬২ দশমিক ৩, ২০২১ সালে ৬৪ দশমিক ৬, ২০২০ সালে ৬২ দশমিক ৩ এবং ২০১৯ সালে ৬২ দশমিক এক শতাংশ।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সনাতন পদ্ধতি ব্যবহার করতেন ২০২৩ সালে ছিল ১ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ। এছাড়া ২০২২ সালে ১ শতাংশ, ২০২১ সালে ১ শতাংশ, ২০২০ সালে এক দশমিক ৬ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে ১ দশমিক ৩ শতাংশ।
সারাবাংলা