Image description

আগামী এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধের যে কোনো দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রয়োজনীয় রোডম্যাপ ঘোষণা করবে। গত ৬ জুন সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এমন ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়সূচিতে অনেকটাই স্বাগত জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামীসহ ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দলগুলো। কিন্তু দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে তারা বিষয়টি নাকচ করেও দেয়নি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ পাওয়ায় দলটির নেতাকর্মীরা আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। দলটির নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার মধ্য দিয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অনিশ্চয়তা অনেকটাই কেটে গেছে। তবে তারা নির্বাচনের সময় এগিয়ে আনতে চান। এ অবস্থায় সবাই তাকিয়ে আছেন আগামী ১৩ মে লন্ডনের একটি হোটেলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য সভার দিকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহলের মতে, এই সভা হবে বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য টার্নিং পয়েন্ট। সভা থেকে তৈরি হতে পারে রাজনীতির নতুন সমীকরণ। সেখানে তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে আনার বিষয়ে মত তুল ধরতে পারেন। এ ছাড়া তারেক রহমানের দেশে ফেরাসহ অমীমাংসিত অনেক বিষয়ের সমাধান আসতে পারে এই সভা থেকে, যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট সমাধানে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। বিশেষ করে অতিসম্প্রতি বিএনপির সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, সেটা অনেকটাই ঘুচে আসবে। সুতরাং সবার নজর এখন লন্ডনে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের অনুষ্ঠিতব্য সভার দিকে। বিশ্লেষক মহল বলছে, রাজনৈতিক সংকট নিরসনের একমাত্র পথ পরস্পরের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে সমঝোতায় পৌঁছানো। সে হিসেবে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

উল্লেখ্য যে, তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের জন্য প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে বিএনপির দিক থেকেও ইতিবাচক সাড়া দেওয়া হয়। বৈঠকে কোনো বিশেষ এজেন্ডার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, রাজনীতির বর্তমান প্রেক্ষাপট এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সম্ভাব্য সমঝোতা বা কৌশলগত অবস্থান বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।

বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি জানান, যুক্তরাজ্য সফররত ড. মুহাম্মদ ইউনূস লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে সভায় বসতে যাচ্ছেন আগামী শুক্রবার। ওই দিন স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি (ইউনূস) যে হোটেলে উঠেছেন; সেখানেই সভা হবে। অনুষ্ঠেয় বৈঠক প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা লন্ডনে যাবেন যখন সিদ্ধান্ত হয়েছে তখন থেকেই মোটামুটি আলোচনা হচ্ছিল যে, সেখানে যেহেতু আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আছেন সেখানে একটা সাক্ষাৎ হতে পারে। একটা সম্ভাবনা তখন থেকেই শুরু হয়েছিল। এখন এটা ম্যাচিউর হয়েছে। সোমবার রাতে আমাদের স্থায়ী কমিটির সভা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সভায় ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেছেন। উনাকে (তারেক রহমান) ফরমালি দাওয়াত করা হয়েছে মিটিংয়ের জন্য। ১৩ জুন (শুক্রবার) ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত লন্ডন সময়ে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাজনৈতিক সংকট কাটাতে একটি একটি টার্নিং পয়েন্ট। ওই বৈঠককে বিএনপির স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করছি যে, বৈঠকটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট কাটাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে, সাম্প্রতিককালের রাজনৈতিক যে প্রেক্ষাপট এটা (বৈঠকটি) একটা বড় ঘটনা। এটা একটা টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দল চালাচ্ছেন, রাজনীতিতে প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হয়ে আছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যেও প্রধান ভূমিকা রেখেছেন, তার সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ হওয়াটা আমি বড় ইভেন্ট বলে মনে করি। আমার মনে হয় যে, এটা এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট। ওই মিটিংয়ের গুরুত্ব জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে অনেক বেশি। এই মিটিংটা হলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে এবং অনেক কিছু সহজ হয়ে যেতে পারে। আমরা আমাদের দলের তরফ থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে সম্পূর্ণ অথরিটি দিয়েছি। তার সাফল্য প্রার্থনা করেছি। বৈঠকের ভেন্যু কোথায়—এই প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল বলেন, লন্ডনে যে হোটেলে (ডোরচেস্টার) উনি প্রধান উপদেষ্টা আছেন, সেটাতেই ভেন্যু। ওখানেই তার সঙ্গে ইংল্যান্ডের হাউস অব কমন্সের ডেপুটি লিডার অব দ্য হাউস দেখা করবেন তারেক রহমানের বৈঠকের পরে। এরপর অন্যান্য নেতা যারা আছেন তারা ওখানেই দেখা করবেন। ভেন্যু একটাই।

এপ্রিলে নির্বাচন প্রশ্নে দ্বিমত

বিএনপির নীতিনির্ধারক মহল ও বিএনপিপন্থি রাজনৈতিক বিশ্লেষক আগামী এপ্রিলে নির্বাচন প্রসঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করেননি। তারা মনে করছেন, এপ্রিল নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময় নয়; বরং ডিসেম্বর-জানুয়ারি নির্বাচনের উপযুক্ত সময়। সেটা রোজা শুরুর আগে ফেব্রুয়ারিতেও হতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, শীতকাল বাংলাদেশে একটি সহনশীল সময়। ডিসেম্বর-জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাস নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ভালো সময়। এ সময় শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষা থাকে না, আবহাওয়া সহনীয় থাকে এবং শহর-গ্রামে সর্বত্র মানুষের চলাচল স্বতঃস্ফূর্ত হয়। অন্যদিকে, এপ্রিল মাসে প্রচণ্ড খরতাপ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি ইত্যাদি নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডকে ঝুঁকিতে ফেলে। এ ছাড়া ২০২৬ সালের মার্চ মাসের শেষ অবধি রোজা এবং ঈদের ছুটি থাকায় নির্বাচনী প্রচার ও নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হবে। এ ছাড়া নির্বাচন শুধুই রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নয়, এটি প্রশাসনিক এবং অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারণের একটি পথ। ডিসেম্বর-জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হলে নতুন সরকার মার্চ-এপ্রিল নাগাদ পরবর্তী অর্থবছরের বাজেট পরিকল্পনা শুরু করতে পারবে। কিন্তু এপ্রিল মাসে নির্বাচন হলে নির্বাচিত সরকার গঠন, প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস ও বাজেট তৈরির জন্য সময় থাকবে মাত্র দুই মাস। এটি দেশের অর্থনৈতিক পরিকল্পনাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করবে। এরকম বেশ কিছু যুক্তি তুলে ধরার চেষ্টা করছে বিএনপি ও তাহের শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

উপদেষ্টার ভাষণে সন্তোষ জামায়াতের:

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যে কোনো দিন জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। ভাষণের পরপরই গত শুক্রবার সংগঠনটির আমির ডা. শফিকুর রহমান গণমাধ্যমে এক বিবৃতি পাঠিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। ওই বিবৃতিতে জামায়াতের আমির বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যে কোনো একটি দিনে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন। তার এই ঘোষণায় জাতি আশ্বস্ত হয়েছে। ঘোষিত সময়ের মধ্যেই তিনি একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জাতি আশা প্রকাশ করছে।’ বিবৃতিতে শফিকুর রহমান বলেন, ‘জাতির তীব্র আকাঙ্ক্ষা সংস্কার, (আওয়ামী লীগের) বিচার ও নির্বাচন—এ তিনটি বিষয়ের ভিত্তিতে এবং ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশকে একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে।’

এপ্রিলে নির্বাচনে দ্বিমত নেই এনসিপির:

এদিকে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়সূচিকে অনেকটাই স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)। তবে এক্ষেত্রে তারা বেশকিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের ওপর দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘যদি দৃশ্যমান বিচারিক প্রক্রিয়া আমরা দেখতে পাই, মৌলিক সংস্কারগুলো আমাদের সামনে দৃশ্যমান হয় এবং নির্বাচনকালীন কিছু সংস্কার প্রয়োজন রয়েছে বিচার বিভাগের, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ও নির্বাচন কমিশনের। এগুলো সম্পন্ন হলে এপ্রিলে নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু তার আগে নির্বাচনকালীন এই সংস্কারগুলো নিশ্চিত করতে হবে। গত সোমবার (৯ জুন) দুপুরে পঞ্চগড় শহরের চৌরঙ্গীতে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গ চা-চক্র শেষে সাংবাদিকের তিনি এসব কথা বলেন। সারজিস বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমরা সব সময় দেখে এসেছি নির্বাচনকালীন সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়। কালো টাকার পেশিশক্তির অপব্যবহার করা হয়। আমরা এই অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে এই নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং একটি ফিল্ড দেখতে চাই। যেখানে ছোট দল হোক, বড় দল হোক, সবাই তাদের জায়গা থেকে স্বচ্ছ এবং সুষ্ঠু একটি নির্বাচন একদম স্বয়ংক্রিয় এবং স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে এই নির্বাচনগুলোতে তারা অংশগ্রহণ করতে পারবে।

ইউনূস-তারেক বৈঠকে সমাধান:

তারেক রহমানের সঙ্গে ড. ইউনূসের অনুষ্ঠিতব্য বৈঠক ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কতটা গুরুত্বপূর্ণ জানতে চাইলে সিলেটের হজরত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাহাবুল হক কালবেলাকে বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে এক ধরনের অনিশ্চয়তা ও নিশ্চয়তার সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ। নির্বাচনী রোডম্যাপের জন্য রাজনৈতিক দলগুলো অনেকদিন থেকে সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিল। বিশেষ করে বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যেই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। তারা নির্বাচনী একটি রোডম্যাপ চাইছিল। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত শুক্রবার (৬ জুন) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যে কোনো দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা করেছেন। প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো একটি রোডম্যাপ পেয়েছে। কিন্তু তারা আগামী এপ্রিলে নির্বাচনের ব্যাপারে কিছু আপত্তি দিয়েছে এবং এই বছর ডিসেম্বরের মধ্যেই তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে অনড় রয়েছে। জামায়াতে ইসলামী এবং এনসিপি প্রধান উপদেষ্টার আগামী বছর এপ্রিলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে। ফলে রাজনীতিতে এক ধরনের অস্পষ্টতা রয়েই গেছে। এমন প্রেক্ষাপটে লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগামী ১৩ জুন অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নেবে এটাই স্বাভাবিক। এটি নিছক একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ নয়, এটি হতে পারে দেশের রাজনৈতিক সংকটের সমাধানের আলোচনা। এতে সরকার ও বিএনপির মধ্যে সম্পর্ক শীতল হবে। তারেক রহমান যেহেতু দেশের বাইরে অবস্থান করছেন; তাই তার সঙ্গে এমন উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক রাজনৈতিক পরিবর্তনের বার্তা বহন করে, যা বিএনপির জন্য কূটনৈতিক বড় অর্জনও বটে। এ বৈঠক থেকে তারেক রহমান দেশে আসার বিষয়টিও সুরাহা হতে পারে।