Image description

আওয়ামী লীগ কি জিনিস ড. মোহাম্মদ ইউনূস সব জায়গায় বুঝতে পারছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শরীফুজ্জামান শরীফ।

তিনি বলেন, ড. মোহাম্মদ ইউনূস গত নয় মাস আগে সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর যুক্তরাজ্যে এটা তার ১১তম বিদেশ সফর। গত ১০টি সফরে যতটা আলোচনা হয়েছে এবারের আলোচনার ডাইমেনশনটা ভিন্ন। তার ইমপ্যাক্টটা ভিন্ন।

এবং এবারকার সফর নিয়ে আলোচনাটাও বেশ তুমূল আলোচনা হচ্ছে। ড. মোহাম্মদ ইউনূস পৃথিবীর কাছে খুব পরিচিত একজন মানুষ। কিন্তু তিনি লন্ডনে পৌঁছানোর পর দেখা গেল যে সেখানে বাংলাদেশের প্রতিনিধি এবং তার সফর টিমের সদস্য যারা তাদেরকে বলা হচ্ছে যে ব্রিটেনের রাজপরিবারের একজন প্রতিনিধি সেখানে ছিলেন কিন্তু তিনি কে? এই নামটি বা তার পজিশনটি বলা হচ্ছে না। তিনি যে যাচ্ছেন বিমানবন্দরে নামার পর আমরা দেখলাম তার প্রেস সেক্রেটারি তিনি পুরো অনুষ্ঠানটা বা তার বিমান থেকে নেমে এগিয়ে যাওয়াটা ভিডিও করছেন।
সেখানে অন্য কোনো মিডিয়াকে দেখা যাচ্ছে। 

সেখানে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করেন। এই সফরটি আলোচনায় এসেছে, তার একটা কারণ হচ্ছে টিউলিপের একটা চিঠি। চিঠিতে তিনি ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

তিনি তার অবস্থানটা ব্যাখ্যা করতে চান। যেহেতু তার দেশে ড. ইউনূস যাচ্ছেন। তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন যে তিনি লন্ডনের মানুষ এবং ওই দেশের নাগরিক। ওই দেশের রাজনীতিবিদ। সুতরাং বাংলাদেশ সরকার তার বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপগুলো নিচ্ছে এই বিষয়ে তার অবস্থানটা তিনি বলতে চান।
কিন্তু আমরা যতটুকু এখন পর্যন্ত শুনেছি যে সেই বৈঠকটা সম্ভবত হচ্ছে না বা সরকার সেই সুযোগটা তাকে দিচ্ছে না। আরেকটা জায়গা হচ্ছে যে গতকালকে সারাদিন তিনি ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। 

প্রথমত টিউলিপ তার জায়গাটা ক্লিয়ার করে ফেলেছে। তিনি তার দেশের জনগণকে মিডিয়াকে বলতে পারবেন যে স্বচ্ছতার কারণে আমি এই বিষয়টি পরিষ্কার করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বাংলাদেশের সরকার আমাকে সেই সুযোগটি দেয়নি এবং তার পক্ষে আন্তর্জাতিক পরিসরে এই বক্তব্যটা এসটাবলিশ করা সহজ হলো যে বাংলাদেশের সরকার বিরাগের বশবর্তী হয়ে তার বিরুদ্ধে কতগুলো পদক্ষেপ নিচ্ছে। 

তবে আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে টিউলিপ সিদ্দিকীকে আপনি কোন হিসাবে ট্রিট করছেন। সম্ভবত আমরা ভুল করছি। আমরা ধরে নিচ্ছি যে তিনি শেখ হাসিনার আত্মীয়। কিন্তু আপনি যে টিউলিপ সিদ্দিকীকে সামনে রাখছেন তিনি কিন্তু ব্রিটেনের সাবেক মন্ত্রী এবং একজন পার্লামেন্ট সদস্য। ইন্টারন্যাশনালি তার ভয়েসের অনেক দাম আছে, অনেক গুরুত্ব আছে। আর তার সরকার ব্রিটেন সরকার ইউলিপ সিদ্দিকীর পাশে আছে। গত দুদিনের ঘটনাগুলো সেটি কিন্তু প্রমাণ করে দেয়। এই যে সফরটা হচ্ছে এই সফরটা এখন পর্যন্ত যা অর্জন তার থেকে বিসর্জনটা বেশি।