Image description

তানভীর বারী হামিম

সামাজিক যোগাযোগমাধ‍্যম থেকে গ্রামে চায়ের দোকানে ঝড়, ঝড় চলমান সাইবার ওয়ার্ল্ডেও। বিষয় একটিই লন্ডনে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক।এ সংবাদে স্বস্তি মিলেছে দেশের চিন্তায় শ্বাসকষ্টে ভোগা দেশপ্রেমিক বাংলাদেশীদের। তবে, অতিমাত্রায় আশাহত হয়েছেন তারা, যারা ড.ইউনূসকে জনবিচ্ছিন্ন করে আড়ালে নিজেদের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে দেশবিরোধী চক্রান্তে ব‍্যস্ত ছিলেন। তারা এতদিন ষড়যন্ত্রের কূটকৌশলে  সফল হলেও সে কূটকৌশল পরাজিত হবে শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল ৯ টায়। 

পরাজিত এ শক্তি বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ‍্যমে পরিচিত বিজ্ঞজন এবং কথিত বুদ্ধিজীবীদের ওপর ভর করেছে ভিন্নভাবে। ওই যে ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে- প্রবাদের সত‍্যতা প্রমান করছে যেন! পরাজিত এ শক্তি বাজারে নতুন ডিবেটের আমদানি করেছে— ইউনূস সরকারের পক্ষ থেকে তারেক রহমানকে নয়, তারেক রহমান নাকি ড.ইউনূসের সাথে দেখা করতে চেয়েছেন। অন্ধ দলবাজ এবং অন্ধ চালবাজদের এ আলোচনা এমনভাবে উঠে এসেছে যে, ড.ইউনূসের শ্রেষ্ঠত্বকে জাহির করতে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। 

কে শ্রেষ্ঠ কিংবা কে কাকে হাত বাড়াল বিষয়টি একপাশে রেখে প্রথমেই দেশপ্রেমিকদের চোখে পড়েছে ও হৃদয়ে অনুধাবন হয়েছে যে, ড.ইউনূস ও তারেক রহমানের সাক্ষাতে ষড়যন্ত্রকারীদের সকল কূটকৌশল পরাজিত হবে। দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অভাবে জনগণ রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় নিজেদের ভূমিকা হারিয়ে ফেলেছে। ৫ আগস্টকে তারা আশার দিন হিসেবে দেখলেও বর্তমান অনিশ্চয়তা সেই প্রত্যাশার বাস্তবায়নে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যেখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থেকে নির্বাচনকালীন সময়সীমা নিয়ে ধোঁয়াশা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত ডেডলাইন— সবমিলিয়ে দেশে এক গুমোট আবহাওয়ার পরিবেশ বিরাজ করছিল। আর সেই প্রবল ঝড়ের পূর্ব মুহূর্তে হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করেছে লন্ডনে নোবেল লরিয়েট এবং বাংলাদেশের অবশ‍্যম্ভাবী রাষ্ট্রনায়কের মিটিংয়ের খবরে। আর সেই ঠান্ডা হাওয়া থেকে স্বস্তির পরিবেশ রচিত হবে ১৩ জুন সকাল ৯টায়  লন্ডনের একটি স্থানীয় হোটেলে। 

কৃতজ্ঞতা ও ধন‍্যবাদ জ্ঞাপন করতে চাই ড.ইউনূসকে, যিনি জানেন দেশের স্বার্থে দ্রুত সময়ের মধ‍্যে রাজনৈতিক সমাধান নিশ্চিত করা অত‍্যন্ত জরুরী। আর এ সঙ্কটময় সময়ে তাই তো তিনি সরকারের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, দেশের সবথেকে বড় রাজনৈতিক দলের দলীয় প্রধানকে। কেননা, দেশের সবথেকে বেশি মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী তারেক রহমান কখনো দেশের স্বার্থবিরোধী কোন চক্রান্তের সাথে আপোস করেন না,পরাজিত হন না। বরং ঘুরে দাঁড়িয়ে দেশের স্বার্থ রক্ষা ও বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দেন। তাই, আবারো ধন‍্যবাদ ড. ইউনূসকে। আপনার প্রজ্ঞাময়তার আরেকটি উদাহরণ হয়ে থাকবে লন্ডনের এই বৈঠক।

লেখক:
তানভীর বারী হামিম
প্রচার সম্পাদক,
কবি জসীমউদ্দীন হল ছাত্রদল ও প্রতিষ্ঠাতা, কমল মেডিএইড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়