Image description

ঈদের ছুটিতে সিলেটের একটি পর্যটনকেন্দ্র থেকে পর্যটকদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কওমি মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার (৮ জুন) বিকেলে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের চরারবাজার এলাকার ‘উৎমাছড়া’ পর্যটনকেন্দ্রে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, একদল ব্যক্তি ঈদ আনন্দে মেতে থাকা পর্যটকদের স্থান ত্যাগে বাধ্য করছেন। ঘটনাটি মুহূর্তেই নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় এবং তা নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।

 

 

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সাজ্জাদ বকুল। 

তিনি ফেসবুকে লেখেন- 'বিদেশ' সেন্টমার্টিন যেতে তো বছরখানেক ধরেই 'পাসপোর্ট-ভিসা' লাগছে। এখন দেশের ভেতরে সিলেটে বেড়াতে গেলেও লাগবে রুট/ট্যুর পারমিট। নতুন স্বাধীন বাংলাদেশের এই নয়া বন্দোবস্ত নিয়ে কথায় কথায় থিসিস লেখা তাত্ত্বিকদের কোনো বক্তব্য দেখেছেন কেউ?

সাজ্জাদ বকুলের এই মন্তব্য অনেকের মধ্যে সাড়া ফেলেছে।

 
অনেকেই একে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও দেশের ভেতরে মুক্তভাবে ভ্রমণের অধিকারের সরাসরি লঙ্ঘন বলে দেখছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিস্থিতির দিকে নজর না দিয়ে ‘অযথা উস্কানি’ দেওয়া হচ্ছে।

 

এই ঘটনাকে ঘিরে দেশে ‘অভ্যন্তরীণ ভ্রমণের উপর অঘোষিত নিয়ন্ত্রণ’ এবং ‘স্থানীয় কর্তৃত্বের বাড়াবাড়ি’—এই দুই প্রসঙ্গ ফের আলোচনায় এসেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন—বাংলাদেশে কি এখন সত্যি ভ্রমণের জন্য ‘রুট পারমিট’ লাগবে?