মিডিয়ায় অপপ্রচার হচ্ছে দাবি করে আসিফ মাহমুদ বলেন, দেশের কিছু কিছু মেইন স্ট্রিম মিডিয়ায় অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাদেশ নিয়েও অপপ্রচার করা হয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার চালাতে পারে। কিন্তু, মেইন স্ট্রিম মিডিয়া এটা কীভাবে করতে পারে। অনেকেই রাজনৈতিকভাবে প্রণোদিত হয়ে অপপ্রচার করে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ইতিপূর্বে আমার পরিবার ও বাবাকে নিয়ে অপপ্রচার করা হয়েছে। চাঁদপুরের একটি ঘটনাকে আমার পরিবারের ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে আমাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। কারা এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত আমরা তা নোট করে রাখছি। এসব বিষয়ে রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আমি আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিতে পারি।
সোমবার (৯ জুন) সকালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার জাহাপুর বাজারে সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচনের সম্ভাব্য যে তারিখ দেয়া হয়েছে তা মাথায় রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) যথাসময়ে রোডম্যাপ দেবে।
নাগরিক সেবার প্রসঙ্গ তুলে ধরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, জনগণ অধিকাংশ সেবা স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে পেয়ে থাকেন, সেগুলো দীর্ঘদিন ধরে বিঘ্নিত হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য একটা কনসার্ন। আমরা অনেক জণকল্যাণমূলক কাজ করার চেষ্টা করছি। কিন্তু যে দৈনন্দিন সেবাগুলো দেয়ার কথা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি না থাকায় সেগুলো দিতে পারছি না।
এ সময় তিনি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করাটা সরকারের প্রথম থেকেই সদিচ্ছা ছিল। স্থানীয় সরকারের অনেকগুলো স্তর রয়েছে, কতটুকু আমরা করতে পারি সেটা দেখব এবং সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন আয়োজনের জন্য বলতে পারি।
উপদেষ্টার সঙ্গে কুমিল্লা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পঙ্কজ পড়ুয়া, মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহমানসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, আজ সোমবার নিজ এলাকা কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় আসেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। সফরকালে তিনি উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশ নেন।
ব্যক্তিগত সফরে তিনি বাবুটিপাড়া, পাহারপুর, ছালিয়াকান্দি, জাহাপুর, শুষুন্ডা ও দারোরা ইউনিয়নে পরিদর্শনে যান এবং সরকারি কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। এছাড়া জনগণের বিভিন্ন সমস্যা, চাওয়া পাওয়ার বিষয়েও সরাসরি কথা বলেন।
