
অফিসের কাজ, যাতায়াতসহ আরও অনেক দায়িত্ব পালন শেষে ব্যায়াম করার ফুরসত মেলে না অনেকের। জিমে যাওয়ার সময় বের করা প্রায় অসম্ভব কারও কারও ক্ষেত্রে। অনেকে আবার বাইরে দৌড়াতে পছন্দ করেন না। আবার কারও কারও ঘরে বসে ব্যায়াম করার কথা শুনলেই মনে পড়ে যায় লকডাউনের বিরক্তিকর দিনগুলোর কথা। এমন পরিস্থিতিতে নাসার একটি গবেষণা হয়তো আপনাকে সাহায্য করতে পারে।
নাসার গবেষণায় দেখা গেছে, মিনি ট্রাম্পোলিনে মাত্র ১০ মিনিট রিবাউন্ডিং করা আধঘণ্টা জগিং করার চেয়ে ৬৮ শতাংশ বেশি কার্যকর। রিবাউন্ডিং মূলত অ্যারোবিক ব্যায়াম। এই ব্যায়ামে ছোট ট্রাম্পোলিনে লাফাতে হয়। এটি স্মার্ট এবং কম সময়ের ওয়ার্কআউট। অর্থাৎ শুধু ট্রাম্পোলিনে লাফালেই দৌড়ানোর চেয়ে বেশি সুবিধা পাবেন।

দৌড়ানোর তুলনায় রিবাউন্ডিংয়ের বড় সুবিধা হলো, এটি পুরো শরীরে সমানভাবে প্রভাব বিস্তার করে। ফলে জয়েন্টের ওপর চাপ কম পড়ে। তবে শক্তি, সহনশীলতা এবং হৃদযন্ত্রের শক্তি বৃদ্ধি পায় ঠিকই। তা ছাড়া এই ব্যায়ামের আরও অনেক সুবিধা আছে। এ ব্যায়াম করতে হলে শুধু একটি মিনি ট্রাম্পোলিন দরকার। এটি সহজেই বাসার যেকোনো জায়গায় রাখা যায়। আপনি পছন্দমতো এতে লাফাতে পারবেন। ফিটনেস লেভেল অনুযায়ী এতে রিবাউন্ডিং কাস্টমাইজ করা যায়।
রিবাউন্ডিং অন্যান্য ব্যায়ামের চেয়ে শরীরের জন্য অনেক বেশি কার্যকর। এটি দৌড়ানোর তুলনায় ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত ইমপ্যাক্ট স্ট্রেস শোষণ করে। মানে ব্যাথা কম হয় এবং দ্রুত সেরে যায়। এ কারণে এটি আবার জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
এর সবচেয়ে ভালো দিক হলো এর লো-ইমপ্যাক্ট। মানে আপনি যদি মাত্র ইনজুরি থেকে সেরে ওঠেন বা ইনজুরিতে পড়তে না চান, তাহলে আপনার জন্য ভালো বিকল্প হবে এটি। পাশাপাশি এটি যেহেতু বাসায় করতে পারবেন, তাই অর্থও কিছুটা বাঁচবে। নিয়মিত জিমে যেতে হবে না। নিজের পছন্দমতো সময়ে পছন্দের গান চালিয়ে ১০-১৫ মিনিট লাফিয়ে নিতে পারবেন।
অর্থাৎ আপনার যদি সময়ের অভাব থাকে, দৌড়াতে ভালো না লাগে, তাহলে রিবাউন্ডিং চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট