Image description

 কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল থেকে ১৬ ঘণ্টায় একে একে ৬ টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান জানান, ‘সদর থানা এলাকার মধ্যে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। সেখানে তিনজন পর্যটক ও একজন স্থানীয় ব্যক্তি। আরেকজনের মরদেহ গলিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে; যার পরিচয় পাওয়া যায়নি।

এ ছাড়া সমুদ্র সৈকতের হিমছড়ির পেঁচারদ্বীপ এলাকা থেকে আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. তৈয়বুর রহমান জানান।

সদর থানা পুলিশ জানায়, তিন পর্যটকের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয় রোববার (৮ জুন) গভীর রাত ১টার দিকে সৈকতের ডায়াবেটিস পয়েন্টে।

নিহত মো. রাজিব চট্টগ্রামের ডিসি রোড এলাকার নজির আহমদের ছেলে। তিনি রোববার বিকাল ৫টার দিকে সি-গাল পয়েন্টে গোসলে নেমে ভেসে যান।

সোমবার দুপুর ২টার দিকে বাবা ও ছেলে একসঙ্গে গোসলে নেমে ভেসে যাওয়ার সময় উদ্ধার করা হয় সৈকতের সায়মন বিচ পয়েন্ট থেকে। লাইফগার্ড কর্মীরা রাজশাহীর শাহীনুর রহমান (৬০) এবং তার ছেলে সিফাতকে (২০) কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। কিছু পরে সেখানকার চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।

এ ছাড়া বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাগরের নাজিরারটেক পয়েন্ট থেকে উদ্ধার করা হয় কক্সবাজার শহরের পশ্চিম বাহারছড়া এলাকার নুরু সওদাগরের মরদেহ। তিনি রোববার বিকালে শখের বশে মাছ ধরে গিয়ে সৈকতের শৈবাল পয়েন্ট থেকে ভেসে যান।

অপরদিকে দুপুর ১২টায় খুরুশকুলের আশ্রয়ণ প্রকল্প সংলগ্ন এলাকা বাঁকখালী নদীর মোহনা থেকে উদ্ধার করা হয় একটি অজ্ঞাত গলিত মরদেহ। নিহতের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সি-সেইফ লাইফগার্ডের জ্যেষ্ঠ কর্মী সাইফুল্লাহ সিফাত বলেন, বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢল নেমে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ‘গুপ্ত খালের’ তৈরি হয়। সেখানে পড়লেই বিপদগ্রস্ত হচ্ছেন পর্যটকরা। নির্দিষ্ট স্থানে গোসলে না নেমে এর বাইরে গোসলে নামলেই ভেসে যাচ্ছেন বা নিখোঁজ হচ্ছেন।

“তারপরও লাইফগার্ড চেষ্টা করে যাচ্ছে। আজকে সকাল থেকেই বিপদগ্রস্ত ছয়জনকে আমরা জীবিত উদ্ধার করেছি।”

সিফাত বলছিলেন, সৈকতে যে পরিমাণ পর্যটক, মাত্র ২৭ জন লাইফগার্ড কর্মী দিয়ে সেটি মোকাবিলা সম্ভব না। তাও আবার দুই সিফটে ভাগ হয়ে ১৩ জন করে তারা দায়িত্ব পালন করেন। যা খুবই অপ্রতুল।

কয়েক বছর ধরে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার অধীনে সি-সেইফ লাইফগার্ড কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে কাজ করছে।

শীর্ষনিউজ