
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌর এলাকায় পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় মো. জিদনী মিয়া নামে এক কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সন্ধ্যায় মারা যান এ কলেজছাত্র।নিহত জিদনি মিয়া পৌর এলাকার ভরারদিয়া গ্রামের মৃত ধলু মিয়ার ছোট ছেলে।
জানা গেছে, চড়িয়াকোনা গ্রামের রতন মিয়ার ছেলে ফয়সাল আত্মীয়তার সুযোগে বিশেষ প্রয়োজনে প্রবাসী ছালামিনের কাছে ৫০ হাজার টাকা ধার চান। ছালামিন আত্মীয়তার সৌজন্যে ফয়সালকে টাকা ধার দেন। কিন্তু দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। টাকা চাইলে নানা টালবাহানা করেন। সম্প্রতি ছালামিন বাড়িতে আসার পর ফয়সালের কাছে পাওনা টাকা ফেরত চান। এ নিয়ে উভয়ের মাঝে কথাকাটাকাটি হয়। এতে ফয়সাল টাকা না দিয়ে উল্টো প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেন। ইতোমধ্যে ছালামিনের ছুটি শেষ হয়ে গেলে তিনি প্রবাসে ফিরে যান।
আরও জানা গেছে, গত বুধবার রাতে জিদনী তার বাড়ির পাশে আল্লাদু পাগলার আস্তানার পাশে চায়ের দোকানে বসে চা পান করার সময় ফয়সালের সঙ্গী তাকে চায়ের দোকান থেকে ডেকে বাড়ির অদূরে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ফয়সাল সঙ্গীদের নিয়ে অপেক্ষা করে। জিদনী সেখানে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। জিদনীকে উদ্ধার করে প্রথমে বাজিতপুর বেসরকারি হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসার এক পর্যায়ে পুনরায় বাজিতপুর বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসার পর অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বোন ময়না আক্তার বলেন, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ভাই হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।কটিয়াদী মডেল থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, গত বুধবার (৪ জুন) রাতে ভরারদিয়া গ্রামে আল্লাদু পাগলার মাজারে গানের সময় মোমবাতি নেভানোকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গান-বাজনা বন্ধ করে দেয়। পরে জানতে পারি টাকা-পয়সার লেনদেনকে কেন্দ্র করে একজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করে। তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মারা যান।তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বোন ময়না বাদী হয়ে ফয়সালসহ ৯ জনকে এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।