
সারা দেশে বর্তমানে সক্রিয় রয়েছে মৌসুমি বায়ু, যার প্রভাবে দেশের অনেক এলাকায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবারও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির দেখা মেলে। তবে আগের দিনের তুলনায় এদিন বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কম ছিল।
আগামীকাল ঈদুল আজহা। এই দিনটির আবহাওয়া কেমন যাবে—এ নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে জনমনে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, শনিবার ঈদের দিন চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু অংশে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে দেশের উত্তরের (রাজশাহী ও রংপুর) এবং দক্ষিণাঞ্চলের (খুলনা) এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা খুবই কম। ঢাকার কিছু জায়গায় এক পশলা বৃষ্টির আশঙ্কা থাকলেও দিনটা মোটামুটি শুকনো থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ জানান, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকলেও এর তীব্রতা এখন কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। আজ শুক্রবার থেকে শুরু করে ঈদের দিন ও তার পরদিন পর্যন্ত বৃষ্টিপাত আরও কমে আসতে পারে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসের শেষদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে দেশে বৃষ্টির শুরু হয়। ২৪ মে থেকেই দেশে প্রবেশ করে বর্ষাকালীন মৌসুমি বায়ু, যা এ বছর স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অন্তত এক সপ্তাহ আগে আসে। তখন থেকেই দেশের নানা জায়গায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।
গতকাল দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে নারায়ণগঞ্জে—২৭ মিলিমিটার। তার আগের দিন সর্বোচ্চ ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায়। ঢাকায় গতকাল মাত্র ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।
বৃষ্টির পাশাপাশি গরমও রয়ে গেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, বৃষ্টির পরপরই গরম ও অস্বস্তি বাড়ছে, যার পেছনে রয়েছে বাতাসে অতিরিক্ত আর্দ্রতা। ঈদের দিনও দেশের বিভিন্ন এলাকায় গরম ও ঘামঝরা আবহাওয়া থাকতে পারে। তবে ঈদের পরের দিনগুলোতে বিশেষ করে সোমবার থেকে আবারও বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।