Image description

তামিম ইকবালের বিরুদ্ধে দলের ভেতরের খবর ফাঁস করার অভিযোগ করেছেন সাকিব আল হাসান। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ব্যর্থতা পর্যালোচনা করতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কমিটি গঠন করলে সেই কমিটির কাছেই সাবেক সতীর্থর বিরুদ্ধে সন্দেহের আঙুল তোলেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার।

গতকাল এই সংবাদ কালের কণ্ঠে প্রকাশিত হলে তা নিয়ে হইচই শুরু হয়। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব দিতেই আজ সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্ট দিয়েছেন তামিম।

 
তার পোস্টটি হুবহু নিচে তুলে ধরা হলো :

 

‘আমি আপনাদের সঙ্গে কখনো হাত মেলাব না!

যারা আমার পিছু নিয়েছেন, আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন আমাকে হাত করার জন্য, সেই মানুষগুলোকে বলছি, আমি কখনো আপনাদের সঙ্গে হাত মেলাব না।

22

আমি যদি কখনো ক্রিকেট প্রশাসনে আসি, সঠিক পথ ধরেই আসব এবং শুধুমাত্র ক্রিকেটের ভালোর জন্য আসব। প্রয়োজন হলে কখনো ক্রিকেট বোর্ডে আসব না, তবু আপনাদের সঙ্গে হাত মেলাব না।

যারা আমার ভক্ত-সমর্থক ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনুসারী, তাদের জন্য বলছি, কোনো একজন ব্যক্তির নিজস্ব ধারণা আর তদন্তে রিপোর্টে অভিযুক্ত হওয়া, দুটির মধ্যে ব্যবধান আকাশ-পাতাল।

 
একজন ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত ধারণার কথা বলেছেন তদন্ত কমিটিতে। সেটা তার ব্যাপার। সেই ব্যক্তি আগেও একটি টিভি চ্যানেলে আমার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেছেন, নানা সময়ে নানা কিছু বলেছেন। আমি কখনো প্রকাশ্যে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করিনি।

শুধু এটুকু বলছি, তদন্ত কমিটির রিপোর্টে কোনো অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে করা হয়নি এবং তথ্য ফাঁস করা সংক্রান্ত কোনো কিছু তারা আমাকে জিজ্ঞাসাও করেননি। আমি তো তখন দলেই ছিলাম না! তদন্ত কমিটির কাছেও একই রকম মনে হলে নিশ্চয়ই তারা একবার হলেও সেই প্রসঙ্গ তুলতেন বা আমাকে জিজ্ঞাসা করতেন! 
কোনো এক ব্যক্তির নিজস্ব ধারণা আর তদন্ত কমিটির অভিযোগের মধ্যে যে বিশাল ব্যবধান আছে, আশা করি সবাই বুঝতে পারবেন।

 

এই ব্যাপারটিকে যারা ভিন্নভাবে উপস্থাপন করছেন অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে, তাদের আবারও বলছি, আমাকে কোনোভাবেই আপনাদের কাতারে পাবেন না। আমি হাত মেলাব না।’

সে সময় তদন্ত কমিটিকে সাকিব জানান, দলের ভেতরের খবর ফাঁস করেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ও বাঁহাতি ওপেনার তামিম।

 
সেই বিশ্বকাপেই নাসুম আহমেদকে নাকি চন্দিকা হাতুরাসিংহে চড় মেরেছেন—এমন অভিযোগের বিষয়টিও তামিম বাইরে ফাঁস করেছেন বলে সাবেক সতীর্থর দিকে সন্দেহের আঙুল তুলেন সাকিব। শুধু তামিম নন, এই ঘটনা ফাঁসে তখনকার বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির প্রধান জালাল ইউনুসও জড়িত ছিলেন বলে জানান বাংলাদেশি অলরাউন্ডার। দুজনই হাতুরাসিংহেকে বরখাস্ত করার উদ্দেশ্যেই তথ্য ফাঁস করেছেন বলে জানান সাকিব।