Image description
চিঠিতে উল্লেখ হয়, চীন জানে যে, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে বহির্বিশ্বে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে এবং একই ধরনের চ্যালেঞ্জ চীনকেও মোকাবেলা করতে হয়।

জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশি গণমাধ্যম ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রচারিত তথাকথিত 'অপতথ্য' বা অপপ্রচার প্রতিরোধে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে চীন।

চীনের নিজস্ব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এ ধরণের প্রচারণা মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায়।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তার বরাতে জানা গেছে, ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন গত ২১ মে মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলমকে একটি চিঠি দিয়ে এ প্রস্তাব দেন।

চীনের প্রস্তাব অনুযায়ী কীভাবে যৌথভাবে অপতথ্য মোকাবেলা করা যায়, সে বিষয়ে ২৮ মে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. কাউসার আহম্মাদের সভাপতিত্বে একটি ফোকাস গ্রুপ আলোচনার আয়োজন করা হয়।

সেই আলোচনার কার্যপত্রে বলা হয়, 'বহির্বিশ্বে বিভিন্ন অপপ্রচার মোকাবেলায় চীন যেসব কৌশল অনুসরণ করে, তা বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও কার্যকর হতে পারে। এজন্য যৌথভাবে একটি সেমিনার আয়োজনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যাতে উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মীরা মতবিনিময়ের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতা আরও উন্নত করতে পারেন।'

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, চিঠিতে চীনা দূতাবাস এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে অপপ্রচার, মিথ্যা তথ্য ও গুজব মোকাবেলায় একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ জানানো হয়েছে।

এছাড়া, এই যৌথ উদ্যোগ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ঢাকায় চীনা দূতাবাস একজন কর্মকর্তাকে ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। একইসঙ্গে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও একজন ফোকাল পয়েন্ট মনোনয়নের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

চীনের সঙ্গে যৌথভাবে সেমিনার আয়োজন এবং পরবর্তীতে যৌথ উদ্যোগে কাজ শুরুর আগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও তার আওতাধীন সংস্থাগুলোর মধ্যে ফোকাস গ্রুপ আলোচনার নির্দেশ দিয়েছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

সরকারি পর্যায়ের ভাষ্যমতে, সম্প্রতি ভারতসহ বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যম, প্রবাসী বাংলাদেশিদের ফেসবুক ও ইউটিউব প্ল্যাটফর্মে সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে ভারতের কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরকে অপতথ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার।