Image description

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ও খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য পদে নিয়োগ দিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। মঙ্গলবার (৪ জুন) প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদে আগ্রহী বাংলাদেশি নাগরিকদের কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদে নিয়োগের জন্য যোগ্য ও আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদন করতে হবে। বিস্তারিত যোগ্যতা, শর্তাবলি ও প্রয়োজনীয় তথ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের (www.shed.gov.bd) নোটিশ বোর্ড মেন্যুতে পাওয়া যাবে।

উপাচার্য পদে আবেদন করতে হলে প্রার্থীকে অবশ্যই পিএইচডি ডিগ্রিধারী হতে হবে। কুয়েটের জন্য পিএইচডি ডিগ্রিটি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিষয়ের হতে হবে। আর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গ্রহণযোগ্য হবে।

আবেদনকারীর কমপক্ষে ২০ বছরের শিক্ষকতা অথবা ৫ বছরের গবেষণাসহ ১৫ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাত—যেমন শিক্ষা পরিকল্পনা, আর্থিক ব্যবস্থাপনা, ছাত্রকল্যাণ এবং একাডেমিক কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতাও আবশ্যক।

যাদের বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক বা প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাদের অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে বিবেচনা করা হবে। আন্তর্জাতিক জার্নালে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক গবেষণা ও প্রকাশনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পাণ্ডিত্যপূর্ণ স্বীকৃতি থাকলে সেটিও বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে দেখা হবে। আবেদনকারীর বয়স কমপক্ষে ৪৫ বছর হতে হবে।

আবেদন পাঠানোর শেষ সময় ২৬ জুন বিকেল ৫টা পর্যন্ত। শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন পাঠাতে হবে সিনিয়র সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা বরাবর।

এর আগে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলনের মুখে গত ১৩ মে উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিনকে অপসারণ করে মন্ত্রণালয়। ওই দিনই ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তৌফিক আলমকে অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

অন্যদিকে কুয়েটেও উপাচার্য পদে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র তিন সপ্তাহের মাথায় গত ২২ মে পদত্যাগ করেন অন্তর্বর্তী উপাচার্য অধ্যাপক মো. হযরত আলী। ফলে প্রতিষ্ঠানটি এখন কার্যত নেতৃত্বশূন্য।

দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট মহলে গভীর আগ্রহ দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, শিগগিরই মন্ত্রণালয় যোগ্য নেতৃত্ব নিশ্চিত করবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় দুটি তাদের প্রশাসনিক স্থিতিশীলতা ফিরে পাবে।