Image description

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১০ মাসে সারা দেশে ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৭৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। হত্যা, ডাকাতি, চুরি-ছিনতাইসহ বিভিন্ন মামলায় এই আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না এলেও চেষ্টা চলছে, দাবি পুলিশের। তবে অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, ঢালাও গ্রেপ্তার নয়, প্রকৃত অপরাধীরা ধরা পড়ছে কিনা সেটিও নিশ্চিত করতে হবে।

২৫ মে রাজধানীর বাড্ডায় ব্যবসায়ী ও গুলশান এলাকার বিএনপি নেতা কামরুল আহসান সাধনকে রাস্তায় প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর ঠিক এক সপ্তাহ আগে, মগবাজারে দিনে-দুপুরে এক যুবককে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ব্যাগ ছিনতাই করে দুর্বৃত্তরা। গত এক মাসেই সারা দেশে প্রকাশ্যে হত্যা, ছিনতাই ও কোপানোর ঘটনা ঘটেছে শতাধিক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ধরপাকড়ও চলছে।

পুলিশের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, বছরের শুরু থেকে প্রতি মাসেই বেড়েছে গ্রেপ্তারের সংখ্যা। জানুয়ারিতে সারা দেশে গ্রেপ্তার ৪০ হাজার, ফেব্রুয়ারিতে ৪১ হাজার, মার্চ ও এপ্রিলে ৪৩ হাজার করে এবং মে মাসে গ্রেপ্তার ছাড়ায় ৪৫ হাজার।

জুলাই অভ্যুত্থানের পর পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মনোবল ভেঙে পড়লেও, এবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় বাহিনী। অভিযান ও গ্রেপ্তারেও এসেছে গতি, দাবি পুলিশের।

 

বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশের তৎপরতার ফলে অপরাধীদের দ্রুততার সাথে আইনের আওতায় আনা গেছে। গ্রেপ্তারের যে পরিসংখ্যান তা প্রতিনিয়ত জানানো হচ্ছে। 

অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শৃঙ্খলা ফেরাতে গ্রেপ্তারের সংখ্যা কম না বেশি সেটা বিবেচ্য নয়। অপরাধে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতেই হবে।

সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক বলেন, আমাদের স্বীকার করে নিতে হবে, যেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঘাটতি থাকবে সেখানেই অপরাধীদের দৌরাত্ম্য বাড়বে। বাংলাদেশে এখন এই বাস্তবতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই। বাস্তবে যা ঘটছে, পুলিশের বক্তব্যের সাথে তার মিল নেই। 

এ ছাড়া, বিভিন্ন স্থানে সেনা অভিযানও অব্যাহত। গত আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ ১৪ হাজার ২৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী।