Image description

পরশুরামের আলোচিত বল্লামুখার বাঁধের পাশে নোম্যান্সল্যান্ডে খাল খননের চেষ্টা করে ভারতীয়রা। এ সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও স্থানীয়দের বাধায় পিছু হটতে বাধ্য হয় বিএসএফ ও ভারতীয়রা। গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে মির্জানগর ইউনিয়নের পূর্ব রাঙ্গামাটিয়া গ্রামে বল্লামুখার বেড়িবাঁধ থেকে প্রায় ১০০ গজ উত্তরে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সেদিন সন্ধ্যার আগে থেকে সীমান্তের হ্যালোজেন লাইট বন্ধ করে পূর্ব রাঙ্গামাটিয়া সীমান্তে বিএসএফের সহযোগিতায় শতাধিক ভারতীয় এক্সকাভেটর ও মাটি খননের যন্ত্র নিয়ে আসে। এ সময় বাংলাদেশের পূর্ব রাঙ্গামাটিয়া ও ভারতের আইসিনগর গ্রামের সীমান্তে দক্ষিণ ত্রিপুরার পানি নিষ্কাশনের জন্য খাল খননের কাজ পুনরায় শুরু করার চেষ্টা করে।

বিষয়টি টের পেয়ে বিজিবি ও স্থানীয় গ্রামবাসী বাধা দেয়। বিজিবির দাবি, তারা যেখানে খাল খনন করতে চাচ্ছে, সেখানকার ২০ ফুট জায়গা নোম্যান্সল্যান্ডের মধ্যে পড়েছে। এ কারণে বাঁধা দেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে সরে যায় ভারতীয়রা। এর আগে গত ২১ মে রাতে পূর্ব রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের সীমান্তে প্রায় ১০০ গজ খাল খনন করে ভারতীয়রা।

পূর্ব রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের বাসিন্দা মমতাজ মিয়া বলেন, প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টির মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে এক্সকাভেটর ও যন্ত্রপাতি নিয়ে খাল খননের চেষ্টা করে ভারতীয়রা। সীমান্তের পিলার থেকে ২০-৩০ গজ ভেতরে তারা খনন করার চেষ্টা করে। আমরা বিজিবির সঙ্গে উপস্থিত থেকে বাধা দিলে তারা চলে যায়।

পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, ভারতের সুবিধার্থে সীমান্তে টিলা কেটে পানি বাংলাদেশের ভেতরে ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। বিজিবি ও স্থানীয় মানুষ এটি প্রতিরোধ করে। আমরা সতর্ক রয়েছি। এ ধরনের কাজ আমরা করতে দেব না।

বিজিবির ফেনী ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোশারফ হোসেন বলেন, নোম্যান্সল্যান্ডে স্থাপনা তৈরি উভয় দেশের আইনে নিষেধ রয়েছে। তাদের খাল খননের জায়গা নোম্যান্সল্যান্ডে হওয়ায় কাজ বন্ধ রয়েছে। বিজিবি-বিএসএফ দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।