
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ভারতে আসার জন্য তড়িঘড়ি মার্কিন নাগরিকত্ব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে আওয়ামী লীগ সূত্রে এই বিষয়টি জানা গেছে।
সম্ভবত জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে মায়ের সঙ্গে ঈদ কাটাতে হাসিনা পুত্র জয় ভারতে আসতে পারেন। ভারতে আসার জন্য ভারতীয় ভিসার আবেদন করেছেন বলে কলকাতায় অবস্থানরত আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘনিষ্ঠ সূত্রে স্বীকার করা হয়েছে। একটি সূত্র দাবি করেছে, তিনি ইতিমধ্যেই ভিসা পেয়ে গেছেন। হাসিনার সঙ্গে জয়ের দেখা করার বিষয়ে ভারত সরকারের থেকেও সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা গেছে। এই ঈদ মিলনে হাসিনা কন্যা পুতুলও যোগ দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। পুতুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক ডিরেক্টর হিসেবে ২০২৩ সাল থেকে দিল্লিতে রয়েছেন। তবে হাসিনা ও পুতুল দিল্লিতে থাকলেও তাদের মুখোমুখি দেখা হওয়ার কোনও খবর এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
গত বছরের অভ্যুত্থানের পর ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। সেই থেকে তিনি নয়াদিল্লিতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় সেফ হাউসে রয়েছেন। হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেয়ার পর থেকে মায়ের সঙ্গে জয়ের নিয়মিত ভার্চুয়াল যোগাযোগ হলেও মুখোমুখি দেখা সাক্ষাতের সুযোগ হয়নি। এবার সেই সুযোগ বাস্তবায়িত হতে চলেছে বলে ভারতের মিডিয়াতেও দাবি করা হয়েছে। ভারতীয় মিডিয়াতে প্রচারিত সংবাদে বলা হয়েছে, তিনি কলকাতায়ও আসতে পারেন। এর সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, মায়ের সঙ্গে দেখা করার জন্যই জয় মার্কিন নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন। ইতিমধ্যেই নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট পেয়ে গেছেন। জানা গেছে, গ্রিনকার্ড একজন ব্যক্তিকে আমেরিকার বাইরে ভ্রমণ করতে দেয় না। সজীব ওয়াজেদ জয়ের আমেরিকার বাইরে ভ্রমণের জন্য পাসপোর্টের প্রয়োজন ছিল। এক আওয়ামী লীগ নেতার মতে, বর্তমান বংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট বাতিল করার পর বর্তমান পরিস্থিতিতে তাকে মার্কিন পাসপোর্ট নিতে হয়েছে।
নিউজ ১৮-এর সাথে আওয়ামী লীগের এক সাবেক মন্ত্রী বলেছেন, আমরা খুবই আশাবাদী যে তিনি শেখ হাসিনার সাথে দেখা করবেন এবং নির্বাসিত নেতাদের সাথে কথা বলবেন। তিনি দাবি করেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছে। আসন্ন নির্বাচনে দলকে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখার জন্য এটি তাদের কৌশলের অংশ।
বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে কর্তৃপক্ষ প্রথম ১০ মে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। পরে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনও স্থগিত করে।