Image description
এনবিআর দুই ভাগ । মঙ্গলবার থেকে সব কার্যক্রম বন্ধ । ঝুঁকি বাড়ছে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যেে ।

কড়া নাড়ছে নতুন বাজেট। প্রায় সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত। আরেকটি অর্থবছরের বড় তহবিল সংগ্রহের গুরুদায়িত্ব নিতে হবে রাজস্বকর্মীদের। অথচ বাজেট ঘিরে তাঁদের মধ্যে উচ্ছ্বাস-উদ্যমের বদলে এখন ক্ষোভ আর হতাশা। পুরো রাজস্ব খাত এখন নির্বিকার, ভূমিকাহীন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দেশজুড়ে প্রতিটি অফিস স্থবির। থমকে রয়েছে সব কার্যক্রম। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দাবি আদায়ে একাট্টা হয়ে মাঠে । সেবা পাচ্ছেন না করদাতা, ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা। জমা হচ্ছে না রাজস্ব। বন্দরে কাজের ধীরগতি। দৈনন্দিন কাজে কারো মনোযোগ নেই।

দেশের অর্থনীতির রক্তপ্রবাহ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া রাজস্ব খাত বলতে গেলে প্রায় অচল। এর মধ্যে রাজস্বকর্মীদের নতুন কর্মসূচি এনবিআর বিভক্তির অধ্যাদেশ বাতিল আর সংস্থার চেয়ারম্যানের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার অসহযোগ আন্দোলন। কয়েক দিন ধরেই এনবিআর বিভক্তি নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন সংস্থার কর্মীরা। আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টমস খাতের মাঠকর্মী থেকে শুরু করে শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও দাবি আদায়ে সোচ্চার হয়েছেন। দেশের অর্থনীতির প্রাণ এই রাজস্ব খাতের বিভক্তি নিয়ে রাতের অন্ধকারে অধ্যাদেশ জারি করার বিপক্ষে তাঁদের অবস্থান। এই নিয়ে গত মঙ্গলবার অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদসহ কয়েকজন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক হলেও তাতে কোনো সন্তোষজনক সমাধান না হওয়ায় নতুন করে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংস্থার কর্মীরা।

তাঁদের ঘোষিত অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন করে রাজস্ব খাত বলতে গেলে প্রায় অচল করে দেওয়া হয়েছে। রাজস্ব আদায় প্রায় বন্ধ। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সরকার। কারণ প্রতিদিন অন্তত দেড় হাজার কোটি টাকার রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা হওয়ার লক্ষ্য ঠিক করা আছে। এটি সময়মতো আদায় করা সম্ভব না হলে চলতি বাজেট বাস্তবায়নের জন্য কাঙ্ক্ষিত তহবিল পাবে না সরকার। ফলে সরকারের দৈনন্দিন রাষ্ট্রীয় খরচ মেটানো বা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিদেশি দাতা সংস্থা বা উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে হাত পাততে হবে। আর ব্যাংকব্যবস্থা থেকেও ধার করতে হবে।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এম মাসরুর রিয়াজ কালের কণ্ঠকে বলেন, এনবিআরের আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তারা রাষ্ট্রের দুই ধরনের কাজে অপরিহার্য। এক. রাজস্ব আহরণ; যেটার মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। দুই. কাস্টমস বিভাগের দৈনন্দিন ভিত্তিতে বহিঃবাণিজ্য। এই বিভাগ আমদানি ও রপ্তানির সামগ্রিক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। এই দুই ক্যাডারের কাজ ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন, রাজস্ব আহরণ ও বিনিয়োগের জন্য অপরিহার্য।

এনবিআরে কর্মরত আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডারের কাজের গুরুত্ব তুলে ধরে বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের এই নির্বাহী বলেন, যেকোনো ধরনের ব্যাঘাত ঘটলে রাষ্ট্র, অর্থনীতি, জনগণের পাশাপাশি সরকারও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এখানে দুই পক্ষকেই সমাধানের দৃষ্টিকোণ থেকে একসঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনা করে দ্রুততম সময়ে একটা গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছতে হবে। সমাধান মূলত সদিচ্ছার ব্যাপার। সদিচ্ছা থাকলে সমাধান সম্ভব।

এই আন্দোলনের ফলে বিনিয়োগকারীরাও দ্বিধায় পড়বেন বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. তৌফিকুল ইসলাম খান। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, রাজস্ব কার্যক্রমের সঙ্গে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমের একটা যোগসূত্র আছে। বিশেষ করে বৈদেশিক বাণিজ্য। আমদানি ও রপ্তানি। হয়তো অনেক ক্ষেত্রে রাজস্ব আদায় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হবে। রপ্তানি চালু রেখে আমদানি বন্ধ রাখলে ভবিষ্যৎ রপ্তানি সমস্যায় পড়বে। রপ্তানি পণ্যের একটা অংশ আমদানি করে সেই পণ্য উৎপাদন করা হয়। আমার কাঁচামাল তো থাকতে হবে। সামনের বিনিয়োগ পরিস্থিতির জন্যও এটা চ্যালেঞ্জিং হবে। এ ধরনের পরিস্থিতি সমাধানের আগে বিনিয়োগকারীরাও একটু দ্বিধার মধ্যে পড়বেন। সার্বিকভাবে ডিজিটাইজেশনসহ এনবিআরের বাকি যে সংস্কারগুলো প্রয়োজন ছিল তা ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেল।

রাজস্বকর্মীরা জানিয়েছেন, আগামী শনিবার পর্যন্ত এ অসহযোগ চলবে। এর মধ্যে সীমিত পরিসরে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ও রপ্তানির ক্ষেত্রে সেবা চলবে। তবে সব কিছু পুরোপুরি অচল করে দেওয়া হবে আগামী সোমবার থেকে। এ কর্মসূচি চলমান থাকলে রাজস্ব খাত বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে।

গতকাল সরেজমিনে এনবিআর কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন। তাঁদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা। রাজস্ব আয়ের মতো জরুরি কাজ সত্ত্বেও এমন একটি দাবির জন্য বাধ্য হয়ে মাঠে নামতে হয়েছে বলে তাঁদের অনেকের মধ্যে দুঃখবোধও কাজ করছে বলে তাঁরা জানান।

এদিন দুপুরে তাঁরা কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ কর্মীরা অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে গত মঙ্গলবারের বৈঠক ফলপ্রসূ না হওয়ায় আগামী শনিবার থেকে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতির ডাক দেন। একই সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের পক্ষে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত কর কমিশনার হাসিনা আক্তার, উপকর কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান এবং কাস্টমসের উপকমিশনার শাহাদাত জামিল শাওন। অতিরিক্ত কর কমিশনার হাসিনা আক্তার বলেন, মঙ্গলবারের সভার শুরুতেই অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমি মিটিং দীর্ঘ করব না। কর থেকে একজন, কাস্টমস থেকে একজন এবং সংস্কারবিষয়ক পরামর্শক কমিটি থেকে যেকোনো তিনজন কথা বলতে পারবেন। আমি ছয়-সাত মিনিটের বেশি দেব না। ক্যাবিনেটসচিব ও জনপ্রশাসনসচিবের সঙ্গে আরেকটি মিটিং আছে। এ সময়ের মধ্যে মিটিং শেষ করতে সময় গণনার জন্য কে থাকবেন সেটিও জিজ্ঞাসা করেন তিনি। অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে ঐক্য পরিষদের ১৩ জন প্রতিনিধির মধ্যে মাত্র দুজন প্রতিনিধি বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। তাঁরা এনবিআরকে অক্ষুণ্ন রেখে এটিকে আরো শক্তিশালী, আধুনিক ও জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন।

হাসিনা আক্তার আরো বলেন, সভায় অর্থ উপদেষ্টা জানান, বাস্তবায়ন পর্যায়ে ঐক্য পরিষদের উদ্বেগগুলো আমলে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। কিন্তু মিটিং শেষে অর্থ উপদেষ্টা সংবাদমাধ্যমে বলেছেন যে অধ্যাদেশ অনুমোদন হয়েছে, তা বহাল থাকবে। ঐক্য পরিষদের পরামর্শগুলো উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে আলোচনা করে বিধি বা অন্য কিছুর মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হবে। এ বিষয়ে আর কোনো আলোচনা নয় বলে তিনি জানিয়েছেন। ঐক্য পরিষদের আন্দোলন চলবে কি চলবে না সে বিষয়ে কিছু আসে-যায় না। সরকারের নীতিনির্ধারকদের এ বক্তব্য আমাদের মারাত্মকভাবে আহত করেছে।

তিনি আরো বলেন, শুরু থেকে নিয়মতান্ত্রিক এই কর্মসূচির ব্যাপকতা ও যৌক্তিকতার বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান সরকারের নীতিনির্ধারকদের সঠিক তথ্য না দিয়ে প্রকৃত তথ্য আড়াল করেছেন, যা পরিস্থিতিকে এ অবস্থানে নিয়ে এসেছে। এ অবস্থায় চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবি জানাচ্ছে পরিষদ।

রাজস্বকর্মীদের ৫ দফা : দাবি আদায়ে পাঁচ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে মঙ্গলবার থেকে লাগাতার অসহযোগ কর্মসূচি। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি। আজ এনবিআরের অধীন সব দপ্তরে অবস্থান কর্মসূচি। শনিবার ও রবিবার কাস্টম হাউস ও এলসি স্টেশন ছাড়া আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি। এই দুই দিন কাস্টম হাউস ও এলসি স্টেশনে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। তবে রপ্তানি ও আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে। সোমবার থেকে সব দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি। শুধু চালু থাকবে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দেশের মানুষকে অন্ধকারে রেখে রাতের অন্ধকারে অধ্যাদেশ জারি করায় এখন অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। কলমবিরতিতে ধীরগতিতে ছাড় হয়েছে শিল্পের কাঁচামালসহ রপ্তানি পণ্যের উপকরণ আমদানি। এতে শঙ্কা জেগেছে ভবিষ্যৎ রপ্তানিতে। সেই সঙ্গে ধীরগতিতে চলছে উৎপাদন, সরবরাহ ও বিপণন। দ্বিধার মুখে নতুন বিনিয়োগ। এমন পরিস্থিতিতে অধ্যাদেশ বাতিল, এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ, জনসমক্ষে পরামর্শক কমিটির সুপারিশ প্রকাশ এবং অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে সংস্কারের দাবিতে লাগাতার অসহযোগ সংকট আরো জটিল করে তুলতে পারে।

জানা যায়, এমনিতেই রাজস্ব আয়ে বড় ধরনের ঘাটতি চলছে। ১০ মাসে প্রায় ৭১ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি পড়েছে। আর আন্দোলন শুরু হওয়ায় এ ঘাটতি আরো বাড়তে শুরু করেছে। চলতি অর্থবছরের এপ্রিল মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৩০ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা। অথচ আন্দোলনের প্রস্তুতি ও আন্দোলনের জেরে মে মাসের প্রথম ১৮ দিনে মাত্র ৯ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। এই গতিতে রাজস্ব আদায় হলে মে মাসের রাজস্ব আদায় হতে পারে ১৬ হাজার ২৫২ কোটি টাকা।

যেখানে গত বছরের মে মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছিল প্রায় ৩১ হাজার কোটি টাকা। এ সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধিসহ আদায় হলে অন্তত ৩৫ হাজার কোটি টাকা আদায়ের কথা ছিল। প্রবৃদ্ধিসহ আদায় হলে প্রথম ১৮ দিনে প্রায় ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা আদায় হতো। সে হিসাবে ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব হারানোর পর সরকারের সঙ্গে সমঝোতা না হওয়ায় বড় কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

এনবিআরের সাবেক সদস্য (আয়কর) ড. সৈয়দ আমিনুল করিম কালের কণ্ঠকে বলেন, এটা খুব ভয়ের কারণ। আমাদের দেশে এমন একটা পরিস্থিতি নেমে এলো কেন? বিষয়টা খুবই দুঃখজনক। পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি হলে দেশের অর্থনীতিতে চরম ব্যাঘাত ঘটবে। এই সংকট কাটানোর জন্য সম্প্রীতিপূর্ণ পরিবেশে সবার কথা শুনে আলোচনার মাধ্যমে একটা সমাধানে আসা উচিত ছিল সরকারের। আলোচনা করেই সমাধানে আসতে হবে।

এনবিআরের সাবেক সদস্য (কাস্টমস) আব্দুল মান্নান পাটোয়ারী কালের কণ্ঠকে বলেন, লাগাতার কর্মবিরতির কর্মসূচি চলতে থাকলে দেশের রাজস্ব আহরণে অবশ্যই বিঘ্ন ঘটবে। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য মুখ থুবড়ে পড়বে। পরামর্শক কমিটি যে সুপারিশ করেছিল, সেটা বাস্তবায়ন করাই হয়তো যৌক্তিক ছিল। সরকার দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টা সমাধান করে দিলে সবার জন্য মঙ্গল।

বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে চাপ

জাতীয় বাজেটের সবচেয়ে বড় অংশ নিয়েই কাজ করে এনবিআর। আগামী অর্থবছরের বাজেটের কাজও প্রায় শেষ। তবে বাজেটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ ট্যাক্স এক্সপেন্ডিচার (কর ব্যয়) রিপোর্ট। এই রিপোর্ট থেকেই কী পরিমাণ কর রেয়াত-অব্যাহতি-ছাড়-অবকাশ দিচ্ছে তার একটি বিবরণ থাকে; কোন খাতে কত কর ছাড় দেওয়া হয়েছে তা থাকে। বেশি হলে কমানো কিংবা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে এটা খুবই প্রয়োজনীয়। এবারের বাজেটের কাজ প্রায় শেষ হলেও এই রিপোর্ট এখনো শেষ হয়নি।

এ ছাড়া আয়করের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশই আদায় হয় উৎস কর আদায়ের মাধ্যমে। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প কমানো ও বরাদ্দ কাটছাঁটে এমনিতেই কমে গেছে উৎস কর। তবে এখন এর অর্ধেকও আদায় হচ্ছে না। বকেয়া আদায়, দাবি সৃষ্টির প্রক্রিয়াও বন্ধ। ভ্যাটে এখনো ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে রিটার্ন জমা দেয়; তা সংগ্রহ হচ্ছে না। বিভিন্ন কাস্টম হাউসেও চলছে ঢিলেমি।