
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) কার্যালয়ের সামনে সন্ত্রাসী জাকির গ্রুপের হামলায় ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকনসহ অন্তত ১০ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। বুধবার (২১ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগপন্থি জাকির হোসেন ও তার অনুসারীরা ‘চেয়ারম্যান টি স্টল’ নামে একটি দোকান উচ্ছেদের চেষ্টা চালায়। এসময় ডিআরইউ সভাপতি ও অন্যান্য সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি ঠেকাতে গেলে সন্ত্রাসীরা পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।
হামলায় আবু সালেহ আকন ছাড়াও ডিআরইউ দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, সদস্য মশিউর রহমান, মাহবুব হাসান, দেলোয়ার মহিন, মফিজুল সাদিকসহ আরও কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিআরইউ’র সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই তুহিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, “চেয়ারম্যান টি স্টল থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নেয় জাকির ও তার গং। গরিব মানুষের দোকান লুটের প্রতিবাদে ডিআরইউ সভাপতি ও সাংবাদিকরা প্রতিবাদ জানাতে গেলে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।”
ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল জানান, “এই হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার আমরা মামলা করব। গত ১৬ বছর ধরে জাকির গং এলাকার নিরীহ মানুষ ও সাংবাদিকদের ওপর দখলবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে।”
ভুক্তভোগী চেয়ারম্যান স্টোর দোকান মালিক আজিমের স্ত্রী জানান, “জাকির গং আমাদের দোকান লুট করে নিয়ে গেছে। পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে বহু মানুষকে আহত করেছে। তারা জোর করে আমাদের জায়গা দখল করে মাদক ব্যবসা চালাচ্ছে। আমি এর বিচার চাই।”
হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন বলেন, “রাতের অন্ধকারে কাপুরুষোচিতভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। শুধু আমার ওপর নয়, আমাদের সদস্যদের ওপরও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা হয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”
এবিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালিদ মনসুর বলেন, ঘটনার পর আমাদের পুলিশ সদস্য গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।