
গত মঙ্গলবার রাজউক কর্মকর্তারা দেখতে পান , কে বা কারা সেখানে প্রবেশ করে তিনটি নকশা অনুমোদন করে নিয়েছে । মাত্র ১৭ মিনিটে পরপর তিনটি নকশা অনুমোদন হওয়ার কথা নয় । আর যে তিনটি নকশা অনুমোদন করা হয়েছে , তা রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ আবাসিক এলাকা বসুন্ধরা , উত্তরা ও মিরপুর সাগুফতা হাউজিং এলাকার । ধারণা করা হচ্ছে , রাজউকের আইটি বিভাগের লোকজনের যোগসাজশে ভূমিমালিকেরা এ কাজ করতে পারেন । কারণ , উচ্চ নিরাপত্তা সিস্টেম ভেদ করে এমআইএস ( ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ) শাখার লোকজন ছাড়া এ ধরনের কাজ হওয়া কঠিন ।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন , যে তিনটি নকশা অনুমোদন দেখানো হচ্ছে , তা বিতর্কিত । নিয়ম অনুযায়ী এসব নকশা কখনো অনুমোদন পাবে না । তাই সাইট থেকে জালিয়াতি করে পাস করানো হয়েছে । তিনটি বহুতল ভবনের নকশা পাস করাতে হলে তাতে বিধি অনুযায়ী বিসি ( বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন ) কমিটির অনুমোদন লাগে । সেখানে ইমারত পরিদর্শক থেকে শুরু করে অথরাইজড অফিসার হয়ে সদস্যের পর্যন্ত অনুমোদন লাগে ।
মঙ্গলবার এ ঘটনা জানাজানি হলে সংস্থাটির চেয়ারম্যান তাৎক্ষণিক পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন । সেখানে সদস্য ( পরিকল্পনা ) শেখ মতিয়ার রহমানকে আহ্বায়ক ও সংশ্লিষ্ট অথরাইজড অফিসারকে সদস্যসচিব করা হয়েছে । তাঁরা আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে চেয়ারম্যানের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন । রাজউক চেয়ারম্যান বলেন , ‘ নকশা অনুমোদনের জন্য বেশ কিছু কর্মকর্তার সাইটে প্রবেশাধিকার রয়েছে । এখন কে কাজটি করেছেন , তা জানা যায়নি । তবে যিনি এ কাজ করেছেন এবং যাদের নকশা অনুমোদন করা হয়েছে , সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে । আমরা এসব নকশা বাতিলসহ ফৌজদারি মামলা করব । '