
গত বছর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের একদিন পর, ৯ আগস্ট সারজিস আলম একটি ইন্টারেস্টিং স্ট্যাটাস লিখেছিলেন। সেখানে তিনি লেখেন "নাহিদ এবং আসিফের মন্ত্রিত্ব গ্রহণ দেশের মানুষের স্বার্থে একধরনের আত্মত্যাগও বটে। কারণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে থাকার ফলে তারা সামনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হবেন।"
সারজিসের স্ট্যাটাসের পেছনে কারণ ছিল—অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সময় সব দল এক ঐক্যমত্যে পৌঁছেছিল যে, এই সরকারের যারা অংশ নেবেন, তারা রাজনীতি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন। কারণ এই সরকারের মূল ম্যান্ডেট ছিল একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়া।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, সেই অঙ্গীকার ভেঙে নাহিদ উপদেষ্টা (মন্ত্রিত্ব) থেকে পদত্যাগ করে নতুন দল গঠন করলেন। তিনি তো অবশ্যই নির্বাচনে অংশ নেবেন। আসিফও নির্বাচন করবেন, এটাও মোটামুটি নিশ্চিত। মাহফুজুর রহমান এনসিপি গঠনের অন্যতম কারিগর, তিনিও নিশ্চই বাদ যাবেন না? আর এসবই কি ‘জুলাই স্পিরিট’-এর পরিপন্থী নয়?
জাতির সঙ্গে করা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ শুধু রাজনৈতিক নয়, নৈতিক বিচ্যুতি—এটি একপ্রকার এই গণ অভ্যুত্থাণের স্পিরিটের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা। যারা ক্ষমতার মোহে নিজ প্রদত্ত মতামত অগ্রাহ্য করে, তারা কি আদৌ জনগণের আস্থার উপযুক্ত? এই প্রবণতা রোধ না করলে ভবিষ্যতে কোনো ঐকমত্যই টিকবে না, গণতন্ত্রের ভিত হবে চূড়ান্তভাবে দুর্বল।