Image description
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-প্রধান প্রকৌশলী মো. মাহবুবুল ইসলাম নিয়মিত  অফিসে আসেন না। জরুরি কাজে উপাচার্য ডাকলেও পাননা। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে ত্যাগ করেন কর্মস্থল। এঘটনায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে  বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।নোটিশে তার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবেনা তা পত্র ইস্যুর তারিখ থেকে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. মিজানুর রহমান বরাবর জবাব দিতে বলা হয়েছে। 
 
 
গত ১৩ মে(মঙ্গলবার) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের অনুমোদনক্রমে  বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি শোকজ নোটিশ মো. মাহবুবুল আলমকে পাঠানো হয়। 
শোকজ নোটিশে বলা হয়, ‘আপনি নিয়মিত অফিসে আসেন না, আসলেও সময়মতো আসেন না। এতে করে আপনার অধীনে অন্যান্য স্টাফরাও কাজে ফাঁকি দিচ্ছে। যা ধীরে ধীরে লাগামহীন অনিয়ন্ত্রিত অনিয়মে পরিণত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের অধীন অসংখ্য কাজ চলমান থাকলেও তার গতি মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে এবং সময়ানুযায়ী তা শেষ হচ্ছে না এবং মন্থর হয়ে যাচ্ছে।
 
 
ফলে প্রকৌশল দপ্তরের সকল শাখায় কাজের চরম ধীরগতি ও গাফিলতি পরিলক্ষিত হচ্ছে।প্রায়শ: আপনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করে থাকেন।মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম আপনাকে তলব করলে সময়মতো পাননা।উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৬ এর ৪৩ (৬) ধারা, Jatiya Kabi Kazi Nazrul Islam University Employees (Efficiency and Discipline Statute) এর ধারা ৩ এর (c) অনুযায়ী কেন আপনার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না সে বিষয়ে আপনার জবাব/ব্যাখ্যা পত্র ইস্যুর তারিখ হতে পরবর্তী ০৩ (তিন) কর্মদিবসের মধ্যে জানানোর জন্য বলা হলো।’ এ বিষয়ে মো. মাহবুবুল ইসলামের বক্তব্য জানতে তাকে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। 
 
 
শোকজের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন,‘তিনি শোকজের জবাব দিয়েছেন তবে সেটি এখনও দেখা হয়নি। তার জবাব পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’